করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে ঘরের বাইরে সবার মাস্ক পরা নিশ্চিতে সিরাজগঞ্জের চৌহালীতে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসছে; মুখে মাস্ক না থাকলে দেওয়া হচ্ছে জেল-জরিমানা।
কারও বাসা থেকে মাস্ক আনতে মনে নেই, কারও তা পরলে দম বন্ধ লাগে; আবার কেউ কেউ মাস্ক নিয়ে বের হলেও ‘পড়ে গেছেথ পথে- এমনই নানা অজুহাতে করোনাভাইরাস প্রতিরোধের এই উপকরণ পরছেন না বহু মানুষ।
মাস্ক মুখে না জড়িয়ে যারা ভ্রাম্যমাণ আদালতের মুখোমুখি হয়েছেন, তাদের অনেককে গুণতে হয়েছে নগদ জরিমানা, সঙ্গে পেয়েছেন বিনামূল্যের মাস্কও।
মঙ্গলবার দুপুরে চৌহালী উপজেলা প্রশাসনের একটি ভ্রাম্যমাণ আদালতের এক ঘণ্টার কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করে পাওয়া যায় এমন চিত্র।
জেল-জরিমানায় সীমাবদ্ধ না থেকে নিম্ন আয়ের মানুষদের হাতে বিনামূল্যের মাস্কও তুলে দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট মোছা: আফসানা ইয়াসমিন ।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাস মহামারীর থদ্বিতীয় ঢেউথ সামলানোর পদক্ষেপের অংশ হিসাবে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করেছে সরকার।
এরপর মারণঘাতী এই রোগ সংক্রমণ রোধে অত্যাবশ্যক মাস্ক পরা নিশ্চিত করতে গত কয়েক দিন ধরে চৌহালী উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে আসছে ইউএনও ।
মঙ্গলবার বেলা পৌনে ১টার দিকে চৌহালী সরকারি কলেজের সামনে অস্থায়ী হাট-বাজারে চলছিল এসময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আফসানা ইয়াসিনের ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা হয় ।
শুরুতে দেখা যায়, হাটে আসা দুই যুবককে থামিয়ে মাস্ক না থাকায় ৫০ টাকা করে জরিমানা আদায় করা হয় ।
‘মাস্ক আনতে মনে নেইথ বলে ম্যাজিস্ট্রেটকে জানান বাসা থেকে আসা একজন যুবক; অন্যজন অজুহাত না দেখিয়ে সাজা মেনে নেন।
জরিমানা পরিশোধ করলে মাস্ক পরার জন্য উৎসাহিত করে ছাড়ার পাশাপাশি তাদেরকে দেওয়া হয়েছে একটি মাস্ক ৷এসময় ছিলেন, ভ্রাম্যমান আদালতের পেশকার মনিরুজ্জামান , চৌহালী থানার এসআই আব্দুর রউফ , মানবাধিকার কর্মী, সাংবাদিক রোকনুজ্জামান প্রমুখ , মাহমুদুল হাসান ও আল- ইমরান মনু প্রমুখ৷