নিজস্ব প্রতিবেদক,জালাল উদ্দিনঃ ঘন কুয়াশা আর হিমেল বাতাসে কনকনে শীতের দাপট চলছে মৌলভীবাজার জেলায়। বিঘ্নিত হচ্ছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। বিশেষ করে জেলার প্রত্যেকটা গ্রাম ও চা বাগান-পাহাড়গুলোতে হাঁড় কাপানো শীতে একেবারে চরম দুর্ভোগের আবর্তে পড়েছে জনজীবন। ঘন কুয়াশার চাদরে ঢেকে থাকছে আকাশ-প্রকৃতি।
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল-সহ অন্যান্য উপজেলা পর্যটন নগরী হওয়ায় প্রকৃতিপ্রেমীরা এসে চা গাছ দেখে তার নিবিড় স্পর্শ নিতে চান আপন হাতে। যারা পরিবেশের কোনো ক্ষয়ক্ষতি না করে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করেন, সেসব পর্যটকের জন্যই অধীর আগ্রহে সৌন্দর্য মেলে ধরেছে চা বাগানের শীত সকাল।
এ সময় মৃদু কুয়াশায় ভরা থাকে। দূরে চোখ যেতেই দেখা মেলে শীতার্ত প্রাকৃতিক দৃশ্যের। চা গাছের পাতায় জমেছে শিশিরকণা। পাকা সড়ক থেকে নেমে চা বাগানের চা গাছেদের অন্তঃপুরে যেতে মন চায়।
কিন্তু কুয়াশার পাশাপাশি হিমেল হাওয়ার কারণে গত দুই সপ্তাহ থেকে শীতের তীব্রতা আরও বাড়িয়ে তুলেছে। হাড়কাঁপানো শীতে জনজীবন স্থবির হয়ে পড়েছে। যার ফলে সর্বসাধারণের পাশাপাশি চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে শ্রমজীবী মানুষ, বাগানের চা শ্রমিকসহ খেটে খাওয়া মানুষজন।
বিশেষ করে হাড়কাঁপানো শীতে শীতজনিত রোগ সর্দি-কাশি, ঠান্ডা, নিউমোনিয়া, ডায়রিয়া, হাঁপানিসহ শীতজনিত নানা রোগ নিয়ে শিশু এবং বয়স্করা ভর্তি হয়েছেন জেলা-উপজেলার বিভিন্ন সরকারি ও প্রাইভেট হাসপাতালে।
শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার ০৯ জানুয়ারি ২০২৪ইং, সকালে এ অঞ্চলে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এখন থেকে শ্রীমঙ্গলের তাপমাত্রা ধীরে ধীরে কমতে শুরু করবে এবং আরও বেশি অনুভূত হতে থাকবে হিমেল বাতাসে কনকনে শীত।
Post Views: 114