মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি।
এক প্রবাসীর বুদ্ধি প্রতিবন্ধী মেয়েকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে মাধবপুর থানায় মামলা হয়েছে। রোববার (১৯ নভেম্বর) রাতে মামলাটি দায়ের করেছে ভিক্টিমের মা লিপি আক্তার৷ ভিক্টিম আহম্মদপুর গ্রামের আঞ্জব আলীর মেয়ে। তরুণীর বাবা ১২ থেকে ১৩ বছর ধরে মালয়েশিয়ায় প্রবাসে আছেন। সূত্রে জানায়, রোববার বিকেলে ৩ টায় মাধবপুর উপজেলার ধর্মঘর ইউনিয়নের আহম্মদপুর গ্রামের নিজ বাড়ির বসতঘরের বারান্দায় ভিকটিম ওই প্রতিবন্ধী মেয়েটিকে বসিয়ে রেখে তার মা বাড়ির পাশের পুকুরে গোসল করতে যান।
এই সুযোগে পার্শ্ববর্তী বৈষ্টবপুর গ্রামের মরতুজ আলীর ছেলে লিয়াকত আলী (৫০) এসে মেয়েটিকে টেনেহিঁচড়ে বসতঘরের একটি বাথরুমে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়।এসময় মেয়ের মা গোসল শেষে ফিরে এসে মেয়েকে বারান্দায় না দেখে ডাকাডাকি করতে থাকেন।একপর্যায়ে বাথরুম থেকে ধস্তাধস্তির শব্দ শুনতে পেয়ে সেখানে ছুটে গেলে লিয়াকত দৌড়ে পালিয়ে গেছে। কাশিমনগর পুলিশ ফাঁড়ির এসআই আব্দুল কাদের জানান, ‘ওই মেয়েটি ঠিক মতো ঘুচিয়ে কথা বলতে পারে না।মাঝে মধ্যে একটুআধটু কথা বললেও মনের ভাব প্রকাশ করতে পারে না। লিয়াকত প্রায় সময়ই আঞ্জব আলীর বাড়িতে আসা যাওয়া করতো।মেয়েটি লিয়াকতকে দাদা ডাকতো।
তিনি আরো জানান,‘আঞ্জব আলী দীর্ঘদিন ধরে মালয়েশিয়ায় রয়েছেন। ৪ মাস আগে তার বড় ছেলে রুবেল মিয়া (২২) কে মালয়েশিয়াতে নিয়ে গেছেন।অপর ছেলে রানা মিয়া (১৮) রাজমিস্ত্রীর কাজ করেন।ঘটনার সময় বাড়িতে ছিলেন না। ঘটনার পর থেকে লিয়াকত পলাতক। ভিকটিমের নানা আব্দুল হাশিমের সাথে কথা হয় মাধবপুর থানার ডিউটি অফিসারের রুমে।তিনি জানান, ‘সরল মনে লিয়াকতকে আমরা বিশ্বাস করে ছিলাম।সে যে এমন দুঃশ্চরিত্র তা জানা ছিল না।
এবিষয়ে মাধবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রকিবুল ইসলাম খাঁন জানান, ‘তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনগত পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে।
Post Views: 142