সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় স্ত্রী নাসিমা খাতুন দাঁ দিয়ে কুপিয়ে স্বামী সাইফুল মন্ডল(৫০)কোন হত্যা করেছে। নিহত সাইফুল মন্ডল মন্ডলজানি গ্রামের মোঃ আতাহার আলীর ছেলে ও সদর ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বর মোঃ দেলোয়ার হোসেনের ভাই।
১০ নভেম্বর শুক্রবার রাতে উপজেলার সদর ইউনিয়নের মন্ডলজানি গ্রামে এমন লোমহর্ষক ঘটনা ঘটেছে।
কয়ড়া গ্রামে নাসিমা ও সাইফুল ইসলামের বিয়ে হয়।তাদের ঘরে ১ ছেলে ও ৩ মেয়ে আছে।মেয়েদের বিয়েসাদী হয়ে গেছে। পরকীয় প্রেমের সম্পর্কের জেরে ৬/৭ দিন আগে দরিপাড়া গ্রামের ভ্যান চালক আমিরুলের মেয়ে আয়শা খাতুনের সাথে দ্বিতীয় বিয়ে হয় নিহত ফাইফুল ইসলামের। আয়শা খাতুনের আগেও অন্য আরেক জনের সাথে বিয়ে হয়েছিলো।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায় ঘটনার আগের দিন সাইফুল ইসলাম ৬ লক্ষ টাকার ধান বিক্রি করেন। স্বামী দ্বিতীয় স্ত্রীর সাথে বসবাস করলে তার ঘরে সন্তানাদি জন্ম নিবে।তখন স্বামীর সম্পত্তির ওরিশ হবে।এ নিয়ে স্বামীস্ত্রীর মধ্যে প্রায় সময় ঝগড়া বিবাদ হতো।ঘটনার আগের দিন সাইফুল ইসলাম ৬ লক্ষ টাকার ধান বিক্রি করেন। প্রথম স্ত্রী মনে সন্দেহ হয় ধান বিক্রির টাকা দ্বিতীয় স্ত্রীর কাছে জমা দিবে।তখনই স্বামীকে হত্যার পরিকল্পনা করেন।
এ ব্যাপারে উল্লাপাড়া সদর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুস সালেক জানান সাইফুল ইসলাম ৬/৭ দিন আগে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। এর পর থেকে প্রথম স্ত্রীর সাথে সাইফুল ইসলামের ঝগড়া বিবাদ শুরু হয়।তাদের সংসারে নেমে আসে অশান্তি।
শুক্রবার রাতে সাইফুল ইসলাম ঘুমিয়ে পড়েন।আকস্মিক মনের রাগে দাঁ দিয়ে কুপিয়ে সাইফুল ইসলামকে গুরুতর আহত করে।স্থানীয়রা উদ্ধার করে রাতেই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ১১ নভেম্বর শনিবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা গেছে।
এ ঘটনা নিশ্চিত করেন উল্লাপাড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ নজরুল ইসলাম। এ সময় তিনি গণমাধ্যমকে জানান প্রথমে নিহতের পরিবার থেকে অভিযোগ দায়ের করেন।ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য স্ত্রী নাসিমা খাতুন ও তার মেয়ে স্বপ্নকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়। জিজ্ঞাসাদে নাসিমা হত্যার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। মাকে বাঁচানোর জন্য মেয়ে স্বপ্না ঘটনার তথ্য গোপন করে।এ জন্য তাদের গ্রেফতার করা হয়।
অজ্ঞাত দুই জনসহ পরিবারের লোকজনকে আসামী করে নিহতের ভাই মকবুল হোসেন উল্লাপাড়া মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।গ্রেফতারকৃতদের ১২ নভেম্বর রবিবার জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।