নাহিদ মিয়া,মাধবপুর (হবিগঞ্জ)প্রতিনিধি।
চার মাসের শিশু সন্তান সুমাইয়াকে নিয়ে স্বামীর সঙ্গে নোয়াপাড়া রেলস্টেশনে ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করছিলেন রুমা আক্তার। এ সময় তার কোলের সন্তান ক্ষুধায় কান্না শুরু করেন। কিন্তু স্টেশন ভর্তি মানুষের কারণে রুমা সন্তানকে বুকের দুধ খাওয়াতে পারছিলেন না। কিছুক্ষণ নানাভাবে সুমাইয়াকে শান্ত করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন তিনি। পুরো স্টেশনে চোখ বুলিয়েও কোথাও একটু নিরিবিলি জায়গার খোঁজ মেলেনি। সিলেটের মাধবপুরের নোয়াপাড়া রেলস্টেশনে গত শনিবার এমন চিত্র দেখা যায়।
অনুসন্ধানে দেখা যায়, মাধবপুর উপজেলা পরিষদ, সুরমা চা বাগানে ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার থাকলেও বেশির ভাগ স্কুল, কলেজ, শপিং মল, হাসপাতাল, ব্যাংক, রেলস্টেশনের মতো পাবলিক প্লেসে এর কোনো অস্তিত্ব নেই। মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একটি ফিডিং কর্নার থাকলেও তা ছিল তালাবদ্ধ।
জানা যায়, ২০১৯ সালের ২৭ শে অক্টোবর দেশের সব কর্মক্ষেত্র, এয়ারপোর্ট, বাসস্টেশন, রেলওয়ে স্টেশনে, শপিং মলে ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার ও বেবি কেয়ার কর্নার স্থাপনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না, তা জানতে হাইকোর্টে রুল জারি করলে ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার স্থাপনের নির্দেশ দিয়ে রায় ঘোষণা করেছিলেন হাইকোর্ট। কিন্তু মাধবপুর উপজেলায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও পাবলিক প্লেসে হাইকোর্টের রায়ের বাস্তবায়ন নেই।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মনজুর আহ্সান জানান, উপজেলা পরিষদে, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও সুরমা চা বাগানে ডে কেয়ার ও ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার স্থাপন করা হয়েছে।যে সকল সরকারি বেসরকারি ও পাবলিক প্লেসে নেই খোঁজ নিয়ে স্থাপন করা হবে।
Post Views: 123