শনিবার ( ১৪ জুলাই) আনুমানিক সন্ধ্যা ৬ টার সময় মহিষ নিয়ে বগাচতর ইউনিয়নের শিবারেগা থেকে বৈরাগী বাজার যাওয়ার পথে রাজনগর ব্যাটালিয়ন (৩৭ বিজিবি) এর অধিনস্থ রাঙ্গীপাড়া ক্যাম্পের ক্যাম্প কমান্ডার হাবিলদার মোঃ দেলোয়ার হোসেন টহল করার সময় দেখতে পান কিছু সংখ্যক ভারতীয় মহিষ পাচার হচ্ছে।
অত্র অঞ্চলে স্থানীয়ভাবে কোথাও মহিষ পালন বা ক্রয় বিক্রয় করা হয়না বিধায় মহিষের সাথে থাকা ব্যক্তিবর্গকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তারা জানায় যে, জনৈক সুনীল চাকমা ও বিদুৎ জ্যোতি চাকমা মহিষগুলো অবৈধভাবে ভারত থেকে নিয়ে এসেছে এবং কয়েক হাত ঘুরে গত১৪ জুলাই ২০২৩ তারিখে মহিষগুলো জনৈক ইসমাইলের কাছ হতে নিম্নোক্ত ব্যক্তিবর্গ খরিদ করেছে।
হাবিলদার দেলোয়ার হোসেন সমগ্র ঘটনা রাজনগর জোন সদরে জানালে ৩৭ বিজিবির ভারপ্রাপ্ত এ্যাডজুটেন্ট ক্যাপ্টেন মোঃ রসুল আমিন, এর নেতৃত্বে বিজিবি-পুলিশ সমন্বয়ে একটি টাস্কফোর্স দল শিবেরআগা বাজারে গমন করতঃ মহিষগুলো আটক করে।
পরবর্তীতে আটককৃত ০৫টি মহিষ রাজনগর জোনে নিয়ে আসা হয়। মহিষ ক্রেতা-মোঃ জিলানী (৪৩),মোঃ আবুল বাশার (৪২),মোঃ মফিজুল ইসলাম (৪৫),মোঃ ফারুক হোসেন (৫২),সকলের গ্রাম-ছোটলোহা কাঠবাগান,পোষ্ট-মাইনীমুখ,থানা-লংগদু, জেলা-রাঙ্গামাটি।
মহিষ ক্রেতাদের সকলে গরু ব্যাবসায়ী বলে প্রাথমিকভাবে জানিয়েছেন বিজিবি। তাদের মুচলেকা নিয়ে গুলশাখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ শফিকুল ইসলাম এর জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
এ প্রসংগে জোন কমান্ডার লেঃ কর্নেল শাহ্ মোঃ শাকিল আলম বলেন,দেশীয় খামারীদের রক্ষায় ভারতীয় মহিষ চোরাচালান বিরোধী বিজিবি’র অভিযান অব্যাহত থাকবে।তিনি বলেন আটককৃত মহিষগুলো শুল্ক কর্তৃপক্ষের নিকট হস্তান্তরের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। আটককৃত ০৫টি ভারতীয় মহিষের আনুমানিক বাজার মূল্য-৮,৮০,০০০/- (আট লক্ষ আশি হাজার টাকা)হবে।