শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:৩৭ অপরাহ্ন

মৌলভীবাজার কমলগঞ্জে দিন দিন বেড়েই চলেছে তাতঁ শিল্পের কদর-ভোরের কণ্ঠ।

মোঃ জালাল উদ্দীন, স্টাফ রিপোর্টার / ৫৭১ বার পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : রবিবার, ২১ মার্চ, ২০২১

মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলা ইসলামপুরের উত্তর কানাইদেশী সহ অন্যান্য গ্রামে গরীব , অসহায় মহিলাদের মাঝে বেড়েই চলেছে তাতঁ শিল্পের কদর ৷ গ্রাম অঞ্চলের মহিলারা জীবন জীবিকার পথ হিসেবে বেছে নিয়েছেন তাতঁ শিল্পের কাজ ৷ অনেকেই মনে আগ্রহ নিয়ে শিখতেছেন এই শিল্পের কাজ ৷ বিশেষ করে নকশা করা মনিপুরী শাড়ি, নকশি ওড়না, মনোহারী ডিজাইনের শীতের চাদর বাঙালি মহিলাদের সৌখিন পরিধেয় ইত্যাদি ৷

সরেজমিনে, আলাপ কালে উত্তর কানাদেশী গ্রামের (নতুন বাজার) মোছাঃ আয়শা আক্তার ভোরের কণ্ঠ প্রতিবেদককে বলেন গত বছর জানুয়ারী হতে প্রায় একবছর যাবত আমি তাতঁ শিল্পের কাজ করতেছি ৷ প্রতি সপ্তাহে দুইটি হতে তিনটি শাড়ী বানানো যায় , এক সাথে ২০ টি — ৪০টি শাড়ী বানালে প্রায় ১০,০০০ হাজার টাকা খরচ হয় ৷ এক পিচ শাড়ী বাজারে ১২০০/১২৫০ টাকা করে বিক্রি করা যায়।আমাদের সংসার এই শিল্পের উপর নির্ভরশীল। ছেলে মেয়ের পড়া লেখা জীবন-জীবিকার সকল খরচ এই শিল্প থেকে আশা আয়ের উপর চলে ৷

এমন এক সময় ছিল আমরা অভাব অনটনে জর্জরিত ছিলাম , তাতঁ শিল্পের কাজ শিখে কাজ করছি এতে পরিবারের অভাব অনটন অনেকটা দুর হয়েছে।
এখন প্রায় ঘরেই মেয়েরা তাতঁ শিল্পের কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতেছে ৷

অন্যান্য মহিলাদেরকেও এ কাজে আগ্রহ ও উৎসাহিত করেছি ৷ আমার মতো প্রত্যেকেই যদি এই উদ্যোগ নেয় আমি মনে করি তাতঁ শিল্পকে অনেক দুর এগিয়ে নেওয়া যাওয়া সম্ভব ৷ বাংলার তাঁত শিল্পের ইতিহাস বহু পুরনো। তাঁত শিল্পের সুনাম রয়েছে বিশ্বজুড়ে। বাংলার বনেদি ও প্রাচীন এই শিল্পের কদর আজও রয়েছে। দেশে তাঁত শিল্পকে নিজেদের গন্ডি পেরিয়ে ছড়িয়ে দিয়েছে বিশ্বের পরিমন্ডলে। বাংলাদেশের তাঁত শিল্পের ঐতিহ্য সর্বজনবিদিত ৷ তাঁতের পোশাক আমাদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের অংশ ৷ তাঁত বস্ত্রের রয়েছে সোনালী ঐতিহ্য। হস্তচালিত তাঁত শিল্প বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ কুটির শিল্প। প্রতিটি ঘরে মেয়েরা যদি তাতঁ শিল্পের কাজে মনোযোগী হয়, তাতঁ শিল্পের মাধ্যমে জীবিকার পথ বেছে নেয় তাহলে সমাজে দরিদ্রতা দূরিভূত হবে এবং বেকারত্ব দুর হবে ৷


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর