রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে অটোর ছিনতায় চক্রের চার সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে গোদাগাড়ী মডেল থানা পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাত ২ টার দিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার দারিয়াপুর হাতাপাড়া গ্রামের কামাল হোসেনের বাড়ী থেকে অটোগাড়ী উদ্ধার ও তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তাকৃতরা হলো, গোদাগাড়ী উপজেলার হরিশংকর পুর গ্রামের তরিকুল ইসলামের ছেলে রুবেল হোসেন সুজন (৩২) কালিদিঘি কৃষ্ণবাটি এলাকার মজিবুর রহমানের ছেলে ইমন (২৪) বসন্তপুর গ্রামের মৃত আবুল কাশেমের ছেলে আপেল (৪১) এবং চৌদুয়ার গ্রামের মৃত সৈয়ব আলীর ছেলে আনোয়ার হোসেন সুমন (২৯)।
প্রেসবিজ্ঞপ্তীতে জানানো হয়, গত ১৪ মার্চ সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টার দিকে পবার দামকুড়া থানার মুরারীপুর গ্রামের মিলন হোসেনের ছেলে রনি ইসলাম (২২) রাজশাহী মহানগরীর শাহমখদুম থানার আমচত্ত্বর এলাকা থেকে ৪ জন যাত্রীসহ গোদাগাড়ীর সিএ্যান্ডবি মোড়ে আসবে বলে গাড়ীতে উঠে। রাত পৌনে ৮ টার দিকে সিএ্যান্ডবি মোড় পার হয়ে ৫০০ গজ পশ্চিমে গোদাগাড়ীর দিকে ফাঁকা রাস্তায় প্রসাব করবো বলে অটো থামিয়ে অটো চালকের চোখ-মুখ চেপে ধরে জোর পূর্বক গাড়ী থেকে নামিয়ে টানাহেচড়া করে রাস্তার পাশের ধানের জমিতে নিয়ে গিয়ে হাত-পা বেধে ফেলে। এই সময় অটো চালকের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন, মানিব্যাগে থাকা আট শত টাকা ও অটো গাড়ী ছিনিয়ে নিয়ে ভূট্টার জমিতে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। পরে অনেক কষ্ঠ করে হাত পায়ের বাঁধন খুলে গোদাগাড়ীর খেতুর ধাম এলাকায় তার শ্বশুড় বাড়ীতে গিয়ে আশ্রয় নেয়।
এই ঘটনায় গত ১৫ তারিখ গোদাগাড়ী মডেল থানায় অজ্ঞাতনামা ৪ জনকে আসামী করে অটো চালক রনি ইসলাম থানায় মামলা দায়ের করলে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে গোদাগাড়ী মডেল থানা পুলিশ চার ছিনতাকারীকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।
এই বিষয়ে গোদাগাড়ী মডেল থানার ওসি কামরুল ইসলাম বলেন, অটো ছিনাতায়ে ঘটনায় মামলা দায়ের করা হলে আমরা উদ্ধারের জন্য তৎপরতা শুরু করি। বৃহস্পতিবার রাতে তাদের ধরতে ও অটো উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। আসামীদের জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানান।