কানাইঘাট পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের টি.আর কর্মসূচীর আওতায় একটি প্রকল্পের রাস্তার মাটি ভরাটের কাজ না করে পুরো টাকা আত্মসাতের দায়ে সিলেটের জেলা প্রশাসক ও জেলা দুর্নীতি দমন কর্মকর্তার বরাবরে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।গত সোমবার ৭নং ওয়ার্ডবাসীর পক্ষে মহেশপুর গ্রামের বশির উদ্দিনের ছেলে শামীম আহমদ বাদী হয়ে আরো অনেকের স্বাক্ষর সম্বলিত এ অভিযোগ দায়ের করেন।
এছাড়াও অভিযোগের অনুলিপির কপি সংশ্লিষ্ট আরো বিভিন্ন কর্মকর্তার বরাবরে দেয়া হয়েছে। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, ২০২১-২০২২ অর্থ বছরে গ্রামীন অবকাঠামো রক্ষনাবেক্ষন (টি.আর)কর্মসূচীর আওতায় পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের মহেশপুর খলার হাজী মরতুজ আলীর বাড়ির উত্তরের রাস্তা
হইতে দক্ষিণ দিকে গ্রামীন পাঞ্জেগানা মসজিদ পর্যন্ত রাস্তার মাটি ভরাট প্রকল্পের বরাদ্দকৃত ৫৮ হাজার টাকা ওয়ার্ড কাউন্সিলর জমির উদ্দিন কোন কাজ না করে আত্মসাত করেছেন। অভিযোগে আরো উল্লেখ করা হয়, প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য সরকারের টি.আর কর্মসূচীর আওতায় নতুন রাস্তার মাটি ভরাটের জন্য ৫৮ হাজার ১৪৬ টাকা বরাদ্দ হয়। কিন্তু কাউন্সিলর জমির উদ্দিন প্রকল্পের কোন কাজ না করে বরাদ্দকৃত ৫৮ হাজার টাকা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে বিল উত্তোলন করে আত্মসাত করেন। ওয়ার্ডের লোকজন কাজের ব্যাপারে জানতে চাইলে কাউন্সিলর জমির উদ্দিন কোন সঠিক জবাব দেননি।
অভিযোগের প্রেক্ষিতে গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে প্রকল্পের কাজেরস্থলে সরেজমিনে গেলে সেখানে উপস্থিত ওয়ার্ডের বাসিন্দা উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি সাবেক কাউন্সিলর মাসুক আহমদ, ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি শাহীন আহমদ, সাংগঠনিক সম্পাদক আলা উদ্দিন আলাই, ব্যবসায়ী আলমাছ উদ্দিন সহ আরো অনেকে বলেন, হাজী মরতুজ আলীর বাড়ির উত্তরের রাস্তা হতে দক্ষিণ দিকে গ্রামীন পাঞ্জেগানা মসজিদ পর্যন্ত নতুন এই রাস্তায় মাটি ভরাট প্রকল্পের কোন কাজ হয়নি। কাউন্সিলর জমির উদ্দিন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে রাস্তার মাটি ভরাটের কাজের বিল উত্তোলন করে আত্মসাত করেছেন। তারা তদন্ত পূর্বক এ ব্যাপারে পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান।
এ ব্যাপারে পৌর মেয়র লুৎফুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, প্রকল্পের মূল জায়গায় কাজ না হয়ে পশ্চিম পাশে রাস্তায় মাটি ভরাটের কাজ হয়েছে। ওয়ার্ড কাউন্সিলর জমির উদ্দিন জানান, যে প্রকল্পের মাটির কাজ নিয়ে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হয়েছে সেটি সঠিক নয়। মূলত মরতুজ আলীর বাড়ির পশ্চিম পাশের্ব রাস্তায় মাটি ভরাটের কাজ প্রকল্প ছিল, প্রকল্পের পুরো টাকার কাজ করার পর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সরেজমিনে কাজ দেখে বিল পাস করেছেন।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জহিরুল ইসলামের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি অফিসের বাইরে আছি। আমরা প্রকল্পের কাজের ছবি দেখে বিল পাস করি। এলাকাবাসীর অভিযোগ থাকলে তদন্ত করে দেখা হবে বলে তিনি জানান।