সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলায় পুলিশের বিশেষ অভিযানে বিএনপি’র ৫ নেতাকর্মীকে আটক করেছেন থানা পুলিশের সদস্যরা। ২৯ নভেম্বর মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার তাড়াশ-রানীরহাট আঞ্চলিক সড়কের লাউতা চার মাথা আকবর আলী বাজারে ককটেল বিস্ফোরণ হলে তাদেরকে আটক করে। জানা গেছে এ ঘটনায় তালম ইউনিয়ন ২নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মোজ্জামেল হক মজনু বাদী হয়ে অজ্ঞাত ১শ ২০ জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ রাতভর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ৫ বিএনপির নেতাকর্মীকে আটক করে।
আটককৃত আসামীরা হলেন, উপজেলার তালম ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সোহরাব হোসেন (৫৫), ইউনিয়ন যুব দলের আহ্বায়ক দিদার খাঁন (৪২), তাড়াশ উপজেলা যুব দলের যুগ্ম আহ্বায়ক রাজিব আহম্মেদ মাসুম (৩৮), বারম্নহাস ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক ডা. মুক্তার হোসেন সরকার (৪৫) ও মাধাইনগর ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ (৪০)। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তাড়াশ থানার ওসি শহিদুল ইসলাম।
তাড়াশ থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে বিএনপির নেতা কর্মীরা উপজেলার তাড়াশ-রানীরহাট আঞ্চলিক সড়কের লাউতা চার মাথা আকবর আলী বাজার এলাকায় ককটেল বিস্ফোরন ঘটিয়ে পালিয়ে যান।
এ ঘটনায় তালম ইউনিয়ন ২নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মোজ্জামেল হক মজনু বাদী হয়ে অজ্ঞাত ১শ২০ জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন। পরে তাড়াশ থানা পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ওই ৫ নেতা কর্মীকে আটক করেন।
তাড়াশ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম টুটুল বলেন, আগামী ৩ ডিসেম্বর রাজশাহী বিভাগীয় সমাবেশকে সামনে রেখে ভয়ভীতি দেখাতে এ ধরনের গায়াবী মামলা করেছেন। বিএনপির নেতা কর্মীরা রাজশাহী বিভাগীয় সমাবেশে যেতে না পারে এটি সরকারের দমন-পিড়নের একটি কৌশলমাত্র।
এ প্রসঙ্গে তাড়াশ থানার ওসি শহিদুল ইসলাম বলেন, আটককৃত আসামীদের সিরাজগঞ্জ আদালতে পাঠানো হয়েছে।