ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রুহিয়া ইউনিয়নের সেনিহারি এলাকায় দিন-দুপুরে দেশীয় অস্ত্র ও দলবল নিয়ে জোরপূর্বক জমি দখল ও মুজাহারুল ইসলামের পরিবারের লোকজনকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে বেলাল গং ও তার লোকজনের বিরুদ্ধে। আহতদের উদ্ধার করে ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করান স্থানীয়রা।
সোমবার (০৭ নভেম্বর) ভুক্তভোগী মুজাহারুল ইসলাম এ ঘটনায় রুহিয়া থানায় অভিযোগ করেন। থানায় অভিযোগের পর থেকে জমি দখলকারীদের হামলার আতঙ্কে সময় পার করছেন ভুক্তভোগী পরিবারটি।
মুজাহারুল ইসলাম জানান, বেলালের পরিবারের লোকজন দীর্ঘদিন যাবত আমাদের সাথে কারণে-অকারনে ঝগড়া করে আসছিলেন। বেলাল, রুস্তম প্রতিনিয়তই আমার পরিবারকে মারধর করে বসতভিটা সহ আবাদি জমি জবর-দখলের হুমকি দেয়। গত শনিবার (৫ নভেম্বর) সকালে বেলাল গং পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী লাঠিশোঠা, দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমার তফশীলকৃত আবাদি জমিতে আইল দিতে গেলে আমি বাঁধা প্রধান করলে তারা ৫/৭ মিলে বাঁশের লাঠি ও লোহার রড দিয়ে আমাকে আটক করলে আমি চিৎকার করলে আমাকে বাঁচাতে হালিমা বেগম এগিয়ে আসলে বেলাল লোহার রড দিয়ে তার মাথায় জোরে আঘাত করে।
এর পর সাহেলা বেগম ও লুৎফা বেগম আসলে তাদের এলোপাথালী মারধর করতে থাকে তারা। এসময় বেলাল লোহার রড দিয়ে সাহেলার পায়ে আঘাত করলে তার দুই পা ভেঙ্গে যায় আর লুৎফার বাম পায়ের হাড় ভেঙ্গে যায়। সেই সময় সাক্ষী সাম্মি আক্তার আমাদের রক্ষা করতে আসলে বেলালের লোকজন তার বুকের উপর উঠে এলোপাথালী মারধর ও তার পরনের কাপড়চোপড় চিড়ে শ্লীলতাহানী করেন এবং সাম্মির গলা ও হাতে স্বর্ণস্কার লুট করে নিয়ে যায় তারা। আমরা গুরুতর অবস্থায় ঘটস্থলে পড়ে থাকতে দেখে এলাকাবাসীরা উদ্ধার করে আমাদের জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করান। আমরা বাড়িতে কেউ না থাকায় বেলালের লোকজন বাড়িতে গিয়ে আমার ভাসতী বউমাকে একা পেয়ে চুলের মুঠি ধরে কিল-ঘুষি ও লাথি মেরে বাড়িতে থাকা টাকা-পয়সা ও জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে যায়। আমি বাদী হয়ে রুহিয়া থানায় একটি মামলা করেছি। মামলা করার পর থেকেই আসামীরা বিভিন্ন ভাবে আমাকে ও আমার পরিবারকে হুমকি দিচ্ছে। আমি প্রশাসনের কাছে এই সুষ্টু বিচার চাই।
এদিকে অভিযুক্ত বেলাল গং এর সাথে যোগাযোগ করলে তাদের কাউকে পাওয়া যায়নি।
রুহিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ সোহেল রানা বলেন, এ বিষয়ে মুজাহারুল ইসলামের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।