নীলফামারীর ডিমলায় বেগুনের চারা সহ সবজীর চারা বিক্রি করে ক্ষুদ্র কৃষক অমল চন্দ্র রায় স্বাবলম্বী হয়েছে। উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়নের দক্ষিন সুন্দর খাতা গ্রামের কৃষক যদু নাথ রায় দীর্ঘ বছর বিভিন্ন সবজী যেমন, বেগুন,টমেটা,ফুলকপি,বাঁধাকপি,মরিচের চারা উৎপাদন করে হাটে বাজারে বিক্রি করে আসত। বর্তমানে যদুনাথ চন্দ্র রায় বৃদ্ধ হওয়ায় ছেলে অমল চন্দ্র রায় এ পেশায় জড়িত হয়েছে।
১৩ আগষ্ট ( রবিবার) সকালে সরে জমিনে দেখা যায়, অমল চন্দ্র বসত বাড়ির আশপাশে লাল শাক,মুলা শাকসহ বিভিন্ন সবজীর পাশাপাশি বেগুনের চারা বেডের মাধ্যমে তৈরি করে চারা উৎপাদন করে। এখন চারা রোপনের উপর্যুক্ত সময় তাই সকাল থেকে ছেলেকে নিয়ে বেগুনের চারা বাজারে বিক্রির জন্য ৫০ টি ও ১০০ টি করে চারা আঠি বাঁধছে। ১০০ বেগুনের চারা বিক্রী হয় ৫০-৭০ টাকায়। ডিমলা উপজেলাসহ পার্শ্ববর্তী ডোমার, জলঢাকা, হাতিবান্ধা উপজেলার কৃষকরা বিভিন্ন স্থানীয় হাট বাজার থেকে বেগুনের চারা তার কাছ থেকে ক্রয় করে জমিতে বপন করে । অমলের সাথে কথা বলে জানা যে, বাপ দাদার পেশা তাই করছি। বেগুনসহ অন্যান্য সবজীর চারা অনেকে তুলতে পারে না পরিশ্রম বেশি। তাই প্রতি বছর পরিবারের সদস্যদের নিয়ে চারা উৎপাদন করে হাটে বাজারে বিক্রি করি যা আয় হয় তাই দিয়ে সংসার চালাতে হয়। দুর-দুরান্ত থেকে অনেক কৃষক এসেছে অমলের নিকট বেগুনের চারা ক্রয় করতে। কৃষক সিবু চন্দ্র বলেন অমলের চারাগুলো বাজারে অন্যান্য চারা থেকে অনেক ভাল। নিজ হাতে অমল বেগুনের চারাগুলো যত্ন করে তুলে। তার বেগুনের জাত খুবই ভাল, তাই আমি আমার নিজস্ব এক বিঘা (৩০ শতাংশ ) জমিতে বপনের জন্য এসেছি চারা ক্রয় করতে। আর অমলের বাবা যদু নাথ রায়ের সবজীর চারা বিক্রির নামডাক উপজেলার সর্বত্র।
এবিষয়ে উপসহকারী কৃষি অফিসার শাহিনুর রহমান মুঠোফোনে বলেন, এবারের আবহাওয়া অনুকুল থাকায় কৃষকরা সবজী জাতীয় ফসল বেগুনের চাষ করতে পারে। সবজী জাতীয় ফসল বেগুন চাষাবাদ করলে কৃষকরা বেগুন বিক্রি করে অর্থনৈতিক ভাবে লাভবান হবে। বর্তমান বাজারে বেগুনের চাহিদা ভাল। অমলের পাশাপাশি অন্যান্য কৃষকরাও নিজ উদ্দ্যোগে চারা উৎপাদন করে বেগুনা চাষাবাদ করতে পারে।