নন্দীগ্রামে রনবাঘা হাটে অতিরিক্ত খাজনা আদায়ের অভিযোগ।
বগুড়ার নন্দীগ্রামের বৃহত্তম রনবাঘা হাটে অতিরিক্ত খাজনা আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই ঘটনায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন সাধারন জনগনের পক্ষে আব্দুর রাজ্জাক নামের এক ব্যক্তি।
অভিযোগে বলা হয়, উপজেলার ২নং সদর ইউনিয়নের রনবাঘা হাটে সাধারন ক্রেতাদের কাছ থেকে অবৈধ ভাবে অতিরিক্ত খাজনা আদায় করা হচ্ছে।
হাট কর্তৃপক্ষ প্রতিটি গরু হতে ৭০০ টাকা এবং প্রতিটি ছাগল হতে ৩০০ টাকা হারে খাজনা আদায় করছে যা সরকারী খাজনা আদায়ের তালিকা হতে দ্বিগুন। হাট কর্তৃপক্ষ যে রশিদ মূলে গরু/ছাগলের খাজনা আদায় করছে সেই রশিদে কোন খাজনার টাকার পরিমান লেখা হচ্ছে না।
হাট কর্তৃপক্ষ অতিরিক্ত খাজনা আদায় করতে গিয়ে তারা সাধারন ক্রেতাদের সাথে সব সময় খারাপ আচরন সহ শারীরিক ভাবে লাঞ্ছিত করছে। এই ভাবে অবৈধ খাজনা আদায় করা হলে এই ঐতিহ্যবাহী রনবাঘার হাট এক সময় নষ্ট হয়ে যাবে। উক্ত অভিযোগের বিষয়ে রনবাঘা হাট ম্যানেজার মোঃ মিজানের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, সরকারি নিয়মেই খাজনা আদায় করা হয়,অতিরিক্ত খাজনা নেয়া হয়না।
এ বিষয়ে অভিযোগকারী আঃ রাজ্জাকের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, রনবাঘা হাট লুটের রাজ্যে পরিনত হয়েছে, হাটের খাজনা আদায়ের নামে সাধারন ক্রেতা বিক্রেতার কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে হাট কর্তৃপক্ষ। তাই সাধারন জনগনের পক্ষে হাট কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।
অতিরিক্ত খাজনা আদায়ের বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শিফা নুসরাত জানান, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।