ঢাকায় সাভার বাসস্ট্যান্ডে হিজড়া সম্প্রদায় ও হর্কাসদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।এ ঘটনায় উভয় পক্ষের ১০ জন আহত হয়। এ ঘটনার পর পরই পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আহত এক হিজড়াকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শি শহীদুল ইসলাম জানান আজ শনিবার ( ৬ মার্চ ) দুপুর পৌনে ১২ টার সময় নবীনগর হতে আমির হোসেন নামের একব্যক্তি বাসযোগে সাভার আসার পথে বাসের ভেতরে দুই হিজড়া তার কাছে সাহায্য হিসেবে ১০ টাকা দাবী করে। এ সময় তিনি ৫ টাকা দিলে হিজড়াগণ টাকা না নিয়ে তাকে প্রকাশ্য গোপনাজ্ঞ দেখিয়ে বাজে ভাষায় গালাগাল দেয়। হিজড়াদের সাথে তার কথা কাটাকাটি এক পর্যায়ে বাস সাভার বাসস্ট্যান্ডে পৌছলে হিজড়াগণ তার সাথে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন।
পরবর্তীতে হিজড়াগন মোবাইল ফোনে তাদের সম্প্রদায়ের লোকজন খবর দিয়ে বাসষ্ট্যান্ডের পুরাতন ওভারব্রীজের পূর্বপাশে জড়ো করেন। এ সময় ১০/১২জন হিজড়া একত্রিত হয়ে তাদেরকে মারধর করার অভিযোগে ফুটপাতের এক হকারের দোকানে হামলা চালিয়ে দোকানের ছাড়নি (বড় ছাতা) উপড়ে ফেলে। এ সময় কয়েকজন হকার বাধা দিলে হিজড়াগন তাদের ওপর চড়াও হয়। হিজড়াগন একজন হকারকে মারতে মারতে অলি কোম্পানির অফিসের পাশ দিয়ে জাতীয় অন্ধকল্যান সংস্থা মার্কেটের দিকে নিয়ে যায়। তার পরিধানের জামাকাপড় ছিড়ে ফেলে।
এক পর্যায়ে হকারগন হিজড়াদের এলোপাথারি মারধর শুরু করেন। এ সময় হকারদের মার খেয়ে হিজড়াগন দৌড়ে সাভার নিউ মার্কেটের দিকে যেতে থাকলে হকারগন তাদেরকে পেছন থেকে ইটপাটকেল মেরে তাড়িয়ে দেয়।
এ সময় ওভারব্রীজের নিকট ফুটপাতে এক হিজড়া মাটিতে রক্তাক্ত পড়ে থাকেন। তার নাম সুমী। পরবর্তীতে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে এবং রিক্সাযোগে হাসপাতালে ভর্তি করেন। এ ঘটনার ৫/৭ মিনিট পর বাসষ্ট্যান্ডের পশ্চিম পাশে বাসের যাত্রীদের নিকট হতে সীমা ও মুন্নী নামের দুই হিজড়াকে সাহায্য আদায় করতে দেখা গেছে। তারা এ প্রতিনিধিকে জানান আমাদের ৬/৭জন বোন এ ঘটনায় আহত হয়েছেন।
এ ঘটনার পর পুলিশ ফুটপাত থেকে দোকান পাঠ উঠিয়ে দেয়। সাভার মডেল থানার ওসি এএফএম সায়েদ জানান পুলিশ তড়িৎ ব্যবস্থা নিয়েছে এবং বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। তবে কেউ অভিযোগ নিয়ে থানায়।