কানুনগো ও সার্ভেয়ার সেজে মানুষের সাথে প্রতারণা করছে দালাল ইয়াকুব।
কে এই ভূমি দালাল ইয়াকুব আলী। কখনো কানুনগো কখনো সার্ভেয়ার আবার কখনো তহশিলদার পরিচয় দিয়ে সাধারণ মানুষের কাছে থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন এই ভূমি দালাল ইয়াকুব আলী।
আর এই দালাল ইয়াকুবের মাথার ছাতা হয়ে রয়েছে তহশিলদার লুৎফর রহমান। জানা গেছে, ভূমি দালাল ইয়াকুব সকাল থেকে রাত পর্যন্ত তানোর এসিল্যান্ড (ভূমি)অফিস, আমশো তহশিল অফিস ও মুন্ডুমালা তহশিল অফিসে একেক সময় একেক পরিচয় দিয়ে করেন খারিজ খাজনার কাজ। এমনকি তহশিলদার লুৎফর রহমান নিজে দালাল ইয়াকুব কে সাথে নিয়ে তহশিল অফিসে কর্মকর্তার চেয়ারে বসিয়ে কাজ করিয়ে নেন।
সম্প্রতি কিছুদিন আগে দালাল ইয়াকুব সদর ভূমি অফিসে এসে সরকারি ফাইল পত্র ঘাটাঘাটির সময় হাতে নাতে আটক করে ভ্রাম্যমাণ আদালতে জেল দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। কিন্ত জেল থেকে বেরিয়ে এসে আবারো তহশিলদার লুৎফর রহমানের ছত্রছায়ায় শুরু করেন ভূমি অফিসে দালালীর কাজ। শুধু তাই না এই ভূমি দালাল ইয়াকুব কানুনগো’র চেয়ারে, তহশিলদারের চেয়ারে বসে থেকে নিজেকে কানুনগো তহশিলদার পরিচয় দিয়ে প্রতিনিয়ত করেন খারিজ খাজনার নামে সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারণা।
দালাল ইয়াকুবের এসব অবৈধ কাজের সকল সহয়তা করেন তহশিলদার লুৎফর রহমান। তহশিলদার লুৎফর রহমানের ছত্রছায়ায় দিন দিন আরো বেপরোয়া হয়ে উঠছে ভূমি দালাল ইয়াকুব আলী। বেপরোয়া হয়ে উঠলেও নিরব ভূমিকায় রয়েছে উপজেলা এসিল্যান্ড (ভূমি) কর্মকর্তা। ফলে দালাল ইয়াকুব আলীর খপ্পরে পরে নিঃশেষ হয়ে পড়ছে হাজার হাজার ভূমি অফিসে সেবা নিতে আসা সাধারণ মানুষ গুলো।
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন ভূমি অফিসে সেবা নিতে আসা মানুষ জানান,ইয়াকুব দূর থেকে ভূমি অফিসে সেবা নিতে আসা সাধারণ মানুষকে টার্গেট করে তাদের কাছে নিজেকে কানুনগো পরিচয় দিয়ে কানুনগোর চেয়ারে বসে প্রতারণা করে হাতিয়ে নিচ্ছেন লাখ লাখ টাকা। অন্যদিকে সাধারণ মানুষও কানুনগোর চেয়ারে বসা দেখে দালাল ইয়াকুবকে সরল মনে দিচ্ছেন খারিজ খাজনার জন্য টাকা।
সাধারণ মানুষ না বুঝে দালাল ইয়াকুবকে টাকা দিয়ে খাচ্ছেন ধরা। এবিষয়ে দালাল ইয়াকুব আলীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেনি। তবে তহশিলদার লুৎফর রহমান সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আপনারা যা বলা এসিল্যান্ড স্যার ও ইউএনও স্যারকে বলেন বলে এড়িয়ে যান। তানোর এসিল্যান্ড(ভূমি) কর্মকর্তা স্বীকৃতি প্রামানিকের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এমন হওয়ার কোন সুযোগ নেই। তার পরেও যদি এমন হয়ে থাকে তাহলে তহশিলদার লুৎফর রহমান ও দালাল ইয়াকুব আলীর বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি জানান।