সিংড়ায় কৃষকের পাঁকা ধান কাটায় বাঁধা দেয়ার অভিযোগ।
নাটোরের সিংড়ায় সুকাশ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বোয়ালীয়া বেলগারি গ্রামের সংখ্যালঘু কৃষক সুশেন কুমার ও ইউপি সদস্য দুলাল চন্দ্রের মধ্যে দন্দশূক চলে আসছে। এই বিরোধের জেরে ইউপি সদস্য দুলাল চন্দ্রের ধারনা নির্বাচনে তাকে সুশেন ভোট দেয়নি।সেই থেকে তাদের মধ্যে চলছে চরম দন্দশূক। সুশেনের বিরুদ্ধে উঠেপড়ে লেগেছে দুলাল চন্দ্র অভিযোগ সুশেনের।
এ সুবাদে সুশেন চন্দ্রের জমির পাঁকা ধান কাটতে দুলাল চন্দ্র বাধাঁ দিচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছে।বৃষ্টি বাদলের জমিতে পাঁকা ধান নষ্ট হচ্ছে। তিনি আরোও বলেন জমির ধান ঘরে তুলতে না পাড়লে অভাব অনাটনের মধ্যে দিনযাপন করতে হবে।
তিনি জানান অভিযোগ এখানেই শেষ নয় তারা দলবদ্ধ হয়ে মরিচের জমিতে পানি দিতে বাঁধা দেওয়াতে ১০ কাঠা জমির মরিচ নষ্ট হয়েছে।
এ বিষয়ে ইউপি সদস্য দুলাল চন্দ্র জানান ধান কাটতে বাঁধা দেয়া হচ্ছে ও মরিচ নষ্টের অভিযোগটি সঠিক নয়। সুশেন চন্দ্রের কর্মকাণ্ডের উপর ভিত্তি করে চার মাস আগে গ্রামের জনসাধারন মিলে তাকে একঘরে করে রাখার কারনে এই সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে।
বেলগাড়ী গ্রামে শ্রমিক বিমান ও অতুল জানান গ্রামের প্রধানবর্গের নিষেধের কারনে সুশেনের জমিতে কেউ ধান কাটে না। এ কারনে তার জমিতে পাঁকা ধান পড়ে আছে এবং ধান পড়ে নষ্ট হচ্ছে। এ ছাড়া পানির অভাবে তার চাষ করা মরিচও নষ্ট হয়েছে।
ভুক্তভোগী কৃষক সুশেন কুমার অভিযোগ করে বলেন, গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ফ্যান মার্কার কাজ না করে মোরগ মার্কার কাজ করায় সমাজের মধ্যে একঘরে করে চলাফেরার বাঁধার সৃষ্টি করে তার মান সন্মান নষ্ট করেছে এবং ফসলি জমির ফসল নষ্ট করেছে।আমি পুলিশ প্রসাশনের সুদৃষ্টি কামনা করছি এবং তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের সবিনয় অনুরোধ জ্ঞাপন করছি।
এবিষয়ে সুকাশ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মোফাজ্জল হোসেন জানান, এ ধরনের ঘটনা আমার জানা ছিলো না। তবে কাউকে একঘরে করে রাখা বা ধান কাটতে শ্রমিকদের নিষেধ করা আইনগত ভাবে অপরাধ, তাছাড়া বিষয়টি উদ্বেগের। আমি উভয় পক্ষকে ডেকে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।