কমলগঞ্জে বিষপানে প্রেমিক যুগলের আত্মহত্যা।
চা শ্রমিক বিপুল সাওতাল (২২) প্রেমের সর্ম্পক গড়ে উঠে একই বাগানের নতুন লাইনের কৃষ্ণ মাদ্রাজীর মেয়ে গীতা মাদ্রাজী (১৬) এর সাথে । একপর্যায়ে গীতা মাদ্রাজী অন্তস্বত্তা হয়ে পড়লে প্রায় এক মাস পূর্বে গীতাকে নিজ বাড়িতে নিয়ে আসে বিপুল সাওতাল। বিষয়টি বিপুলের পরিবার মেনে নিতে পারেনি। এ নিয়ে প্রায় সময় পরিবারের সাথে ঝগড়া হতো বিপুলের। আর এতেই অভিমান করে প্রেমিক যুগল এক সাথে মিলিত হয়ে আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত গ্রহন করে। সবার অজান্তে প্রেমিক যুগল এক সাথে বিষপান করে আত্মহত্যা করেছে।
শনিবার(২ এপ্রিল)এ মর্মাহত ঘটনাটি ঘটেছে মৌলভীবাজার কমলগঞ্জ উপজেলার সীমান্তবর্তী মাধবপুর ইউনিয়নের দলই চা বাগানে।এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য সৃৃষ্টি হয়েছে।
নিহতের স্বজন ও এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়,বছর খানেক আগে থেকে দলই চা বাগানের লছমী লাইনে বিপুল সাওতাল একই বাগানের নতুন লাইনের গীতা মাদ্রাজীর সাথে প্রেমর সম্পর্ক গড়ে উঠে।
ঘটনার একপর্যায়ে গীতা মাদ্রাজী অন্তস্বত্তা হয়ে পড়লে বিপুলকে ঘরে তোলার চাপ দেয়। প্রায় এক মাস পূর্ব গীতাকে নিজের ঘরে তুলে নেয় বিপুল। কিন্তু তাদের এই বিষয়টি বিপুলের পরিবার মেনে নিতে অসম্মতি জানালে ক্ষোভে ও অভিমান করে শনিবার সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে বাড়ির সবার অজান্তে বিষপান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন তারা দুজনে। পরিবারের লোকজন বিষয়টি জানতে পেরে দ্রুত তাদের উদ্ধার করে প্রথমে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে দুপুরে গীতা মাদ্রাজীর মৃত্যু হয়। পর সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল নেয়ার পথে বিপুল সাওতালের মৃত্যু হয়। দলই চা বাগান পঞ্চায়ত সম্পাদক সেতু রায় ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তবে আত্মহত্যার সঠিক কারন জানাতে পারেননি।
মাধবপুর ইউনিয়নর স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য শিবনারায়ণ শীল জানান,মেয়েটি অন্তস্বত্তা ছিল। প্রায় এক মাস ধরে মেয়েটি ছেলের বাড়িতেই অবস্থান করছিল।
কমলগঞ্জ থানার ডিউটি অফিসার সহকারি উপ-পরিদর্শক ইশতিয়াক আহমদ এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, নিহতদের লাশ উদ্ধার করা হয়। মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালেই দুজনের লাশ ময়নাতদন্ত করা হবে। এ ঘটনায় থানায় একটি ইউডি মামলা রেকর্ড করা হয়েছে । আইনী প্রক্রিয়া শেষ করে তাদের লাশ নিজ নিজ পরিবার কাছে হস্তান্তর করা হবে।