লক্ষ্মীপুর জেলা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক পদে আলোচনার শীর্ষে পলাশ ভূঁইয়া।
বাংলাদেশ কৃষক লীগ লক্ষ্মীপুর জেলা শাখার মেয়াদ শেষান্তে কমিটি বিলুপ্ত করার পর নতুন কমিটি গঠন প্রক্রিয়া শুরু করেছে কেন্দ্রীয় কৃষকলীগ নেতৃবৃন্দ। সে মোতাবেক জেলায় গুরুত্বপূর্ণ পদ প্রত্যাশীরা প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। ২০১৩-২০১৪ইং সালে লক্ষ্মীপুর সদর থানা কৃষকলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করার পর ২০১৪-২০১৬ইং সালে লক্ষ্মীপুর সদর থানা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করা মোঃ নাদিম-উন-নবী (পলাশ ভূঁইয়া) জেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক পদে আলোচনার শীর্ষে রয়েছেন তিনি।
অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য পলাশ ভূঁইয়া পারিবারিকভাবেও আওয়ামী রাজনীতির প্রজন্ম হিসেবে পরিচিত। তার পিতামহ (দাদা) হামিদ উল্যা ভূঁইয়া লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার লাহারকান্দি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সাংগঠনিক সম্পাদক ও লাহারকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। পলাশ ভূঁইয়ার মাতামহ (নানা) বীর মুক্তিযোদ্ধা নছির আহম্মদ ভূঁইয়া মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ছিলেন এবং লক্ষ্মীপুরের আওয়ামী রাজনীতিতে মজলুম জননেতা হিসেবে পরিচিতিও ছিলো।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহচর এই তৃণমূলের জননেতা নছির আহম্মদ ভূঁইয়া ১৯৪৮ইং সালে লক্ষ্মীপুর মহকুমা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতির দায়িত্ব পাওয়ার পর সততা ও জবাবদিহিতার মাধ্যমে দায়িত্ব পালন করায় মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত ১৯৮০ইং সালে লক্ষ্মীপুর মহকুমা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবেই দায়িত্ব পালন করে গেছেন। কোনো পদের লোভ না করে এক পদেই আমৃত্যু দায়িত্ব পালন করা নছির আহম্মদ ভূঁইয়া বর্তমানে প্রথম শ্রেণীর প্রশাসনিক মর্যাদা পাওয়া লক্ষ্মীপুর পৌরসভার প্রতিষ্ঠাতাও। পলাশ ভূঁইয়ার শ্বশুর বদরুল করিম ফারুক লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ১০ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের বর্তমান সভাপতি।
শতভাগ আওয়ামী পরিবারের সন্তান মোঃ নাদিম-উন-নবী (পলাশ ভূঁইয়া) রাজনীতির পাশাপাশি অলাভজনক সামাজিক সংগঠনের সাথেও সম্পৃক্ত রয়েছেন। লক্ষ্মীপুর পৌরসভাস্থ নছির আহম্মদ ভূঁইয়া স্মৃতি সংসদের সদস্য সচিব ও লাহারকান্দিস্থ হামিদ উল্যা ভূঁইয়া স্মৃতি সংসদের সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন।
নাদিম-উন-নবী (পলাশ ভূঁইয়া)আমারজমিনকে বলেন,বাংলাদেশ কৃষকলীগ সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দ,সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট উম্মে কুলসুম স্মৃতি এমপি এবং লক্ষ্মীপুর জেলার কৃতি সন্তান ও কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক হিজবুল বাহার রানার নেতৃত্বে সারা দেশে কৃষকলীগে সৎ ও যোগ্যদের পদায়ন করা হচ্ছে। আমার বিগত দিনের রাজনৈতিক ও সামাজিক কর্মকান্ড মূল্যায়নপূর্বক আমাকে কৃষকলীগের জেলা সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হলে আমি হিজবুল বাহার রানা মহোদয়ের কর্মী হিসেবে বিগত সময়ে দায়িত্ব পালন করার অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে লক্ষ্মীপুর জেলা কৃষকলীগের চলমান সুনাম অক্ষুন্ন রাখতে সক্ষম হবো, ইনশাআল্লাহ।