বাঁশখালীতে ভূয়া ওয়ারিশ সনদের মামলায় জেল থেকে বের হয়ে মামলার বাদী মাওলানা আবুল কালামকে ধরে নিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত করেছে ইউপি সদস্য এবাদুল হক ও তার বাহিনীর লোকজন। এসময় তার ভাই মাহবুবুর রহমানকেও মারধর করেছে সন্ত্রাসীরা। গুরুতর আহত মাওলানা আবুল কালাম ও মাহবুবুর রহমানকে প্রথমে বাঁশখালী হাসপাতাল ও পরে আশংকাজনক অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
গতকাল (১০ মার্চ২২) বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে বাঁশখালীর বাহারছড়া ইউনিয়নের পুর্ব রত্নপুর গ্রামে এই হামলার ঘটনা ঘটে। ভুয়া ওয়ারিশ সনদ দেয়াকে কেন্দ্র করে মাওলানা আবুল কালামের মামলায় ইউপি সদস্যসহ ৩ জন গ্রেফতার হয়ে হাজত বাস করেন। দু’একদিন আগে মেম্বার এবাদুল হক জেল থেকে জামিনে ছাড়া পান। গতকাল ওই মামলায় বাদী মাওলানা আবুল কালাম বাড়ী থেকে বের হয়ে আদালতের দিকে যাওয়ার পথে মেম্বার ও তার বাহিনীর লোকজন আবুল কালামের উপর হামলা চালায়। খবর পেয়ে তার ভাই মাহবুবুর রহমান এগিয়ে এলে সন্ত্রাসীরা তাকেও এলোপাতাড়ি মারধর করে। গুরুতর আহত ২ জনকেই চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ইউপি সদস্য এবাদুল হক এলাকায় নানা অপরাধ কর্মকান্ডের সাথে জড়িত। তার নেতৃত্বে রয়েছে এলাকায় কিশোর গ্যাং। এলাকায় জায়গা জমি নিয়ে বিরোধ, মাদক ইয়াবা সরবরাহ ও এলাকার নানা অপরাধ কর্মকান্ডের সাথে জড়িত এবাদুল হক ও তার বাহিনী। এবাদুলের কিশোর গ্যাংয়ের ভয়ে এলাকায় কারো মুখ খোলার সাহস নেই। একজন বিএনপি নেতা হয়েও এবাদুল হক স্থানীয় সরকারী দল নেতাদের ম্যানেজ করে সরকারের সব ধরণের সুযোগ সুবিধা গ্রহণ ও এলাকায় দেদারছে অপরাধ কর্মকান্ড ঘটিয়ে চলছে।
বাঁশখালী থানার ওসি মুহাম্মদ কামাল উদ্দীন জানান, বাহারছড়ার ঘটনার বিষয়ে তদন্ত পুর্বক জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ছবি ক্যাপশন (১), বাঁশখালীতে মেম্বার এবাদুল হক ও তার বাহিনীর হাতে হামলার শিকার মাওলানা আবুল কালাম ও মাহবুবুর রহমান।