উপজেলা প্রশাসন ও মেয়রের সহয়তা পেল ক্ষতিগ্রস্ত সেই প্রতিবন্ধী পরিবার।
নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার বাকপ্রতিবন্ধী রহিমা বিবির পরিবারকে শুকনো খাবার ও নগদ অর্থ দিয়ে সহয়তা দিলেন পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা প্রশাসন।
বুধবার(৯ মার্চ) দুপুর ১২ টার দিকে নলডাঙ্গা পৌরসভার মেয়র মনিরুজ্জামান মনির ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুখময় সরকার ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারে এই সহয়তা দেন। অন্য দিকে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের ঘর নির্মাণের জন্য ট্রলিচালকের কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা আদায় করে দেন নলডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম।
এ সহয়তা পেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত বাকপ্রতিবন্ধীর পরিবার খুশি হলেও নিরাপদে বসবাসের জন্য স্থায়ী সরকারী আশ্রয়ণ প্রকল্পের একটি বাড়ি পাওয়ার দাবী করেছে।তবে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুখময় সরকার খাস জমি বন্দোবস্তসহ বিভিন্ন সরকারী সহয়তা দেওয়ার আশ্বাস দেন।উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১০ কেজি চাল,ডাল, তেল, লবণ, চিড়া, চিনিসহ শুকনা খাবার ও নলডাঙ্গা পৌরসভার মেয়র মনিরুজ্জামান নগদ ৩ হাজার টাকা প্রদান করেন।
উল্লেখ্য,গত ৮ মার্চ মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১০ টার দিকে নলডাঙ্গা উপজেলার নলডাঙ্গা পাটুল সড়কের পূর্ব সোনাপাতিল এলাকায় ইট বোঝাই ট্রলি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাকপ্রতিবন্ধী রহিমার শয়ন ঘরে ঢুকে পড়ে।এতে ঘরের যাবতীয় আসবারপত্র তছনচ হয়ে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়ে।
এ ঘটনার ওই বাকপ্রতিবন্ধীর রহিমার কান্নার আহাজারীর একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে তা ভাইরাল হয়।