নাগরপুরে থেমে নেই বালুখেকোদের দৌরাত্ম্য অবাধে চলছে অবৈধ ট্রাক্টর।
টাংগাইলের নাগরপুরে থেমে নেই বালুখেকোদের দৌরাত্ম্য এবং অবাধে চলছে বালু বহনকারী অবৈধ ট্রলি ট্রাক্টর।কৃষি কাজে এ সব ট্রাক্টর ব্যবহার হওয়ার কথা থাকলেও এখন এগুলো বালু বহন করছে এবং পাকা রাস্তা ঘাট দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। এর ফলে একদিকে যেমন অদক্ষ চালক দিয়ে এসকল অবৈধ ট্রাক্টর গাড়ি চালনার ফলে দূর্ঘটনা বাড়ছে অন্যদিকে রাস্তা ঘাটে বেহাল অবস্থার সৃষ্টি হচ্ছে।সরেজমিনে দেখা যায়,উপজেলার গয়হাটা, ভাদ্রা, ধুবড়িয়া ইউনিয়নে কৃষি জমিতে ,মোকনা ইউনিয়নের কেদারপুর ধলেশ্বরী নদী, ভারড়া ইউনিয়নের নদী সংলগ্ন বিভিন্ন জমিতে ভেকু বসিয়ে বালুখেকোরা কখনও রাতের আঁধারে কখনও দিন দুপুরে বালু উত্তোলন করে আসছে।
প্রশাসনিক কর্তাব্যক্তিদের প্রায় প্রতিদিনই কোনো কোনো নানামুখী মহাব্যস্ততার সুযোগে বালুখেকোরা অতীতের যে কোনো সময়ের তুলনায় আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। চলমান সার্বিক পরিস্থিতির ঘুর্নায়মান প্রেক্ষাপটের আবর্তে বালুচক্রের এখন সুসময় অতিবাহিত হচ্ছে। দেশে করোনা মহামারীর সুযোগে বালুখেকোদের কালোথাবার দৌরাত্ম দিন দিন অপ্রতিরোধ্য বেড়েই চলেছে।
ফলে অত্রাঞ্চলের রাস্তাঘাট, ঘরবাড়ি ও সরকারি-বেসরকারি মূল্যবান স্থাপনা গুলোর ভূগর্ভস্থ তলদেশ শূন্যতার সৃষ্টি হওয়ায় এসব মারাত্মক হুমকীর সম্মুখীন হয়ে পড়েছে। প্রাকৃতিক পরিবেশ পরিস্থিতি ক্রমান্বয়ে অবনতি ঘটায় সার্বিক জীব ও বৈশিষ্ট্য বড়ই বিপন্ন হয়ে উঠছে। সমসাময়িক ঘটছে প্রাকৃতিক নানা বিপর্যয়। চক্রটি সংঘবদ্ধ হওয়ায় সাধারণ ভূক্তভোগি এলাকাবাসি এদের বিরুদ্ধে সাধারণত কখনো কিছু বলার সাহস করেনা।অবৈধ ট্রলি ট্রাক্টর চলাচলের ফলে উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চলের স্কুল-কলেজ, ঘরবাড়ি, সরকারী অর্থ ব্যয়ে নির্মিত পাকা ও কাঁচা রাস্তা সমূহ মারাত্মক হুমকীর কবলে পড়েছে। সম্ভাব্য অপেক্ষমান কোন দূর্ঘটনার আশঙ্কায় ভূক্তভোগি মহল শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। এলাকাবাসি সময় থাকতে বালুখেকোদের প্রতিরোধে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাসহ সম্মিলিত প্রশাসনিক জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছে।
এ বিষয়ে নাগরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ওয়াহিদুজ্জামান বলেন,অবৈধ বালু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে খুব দ্রুত অভিযান পরিচালনা করা হবে।