শিরোনাম
실시간 메이저사이트, 풋볼스피크 추천 플랫폼 How To Handle Every MEGA Challenge With Ease Using These Tips দুর্গাপুরে জামায়াতে ইসলামীর আয়োজনে জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচনে কেন্দ্র পরিচালক ও পোলিং এজেন্ট প্রশিক্ষণ। ডিমলায় বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা। গাঁজায় চলম ধ্বংসষজ্ঞ ও প্রানহানীর প্রতিবাদে ডিমলায় বিক্ষোভ। গাঁজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে মাধবপুরে বিক্ষোভ মিছিল। ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের হামলার প্রতিবাদে কালিয়াকৈরে বিক্ষোভ মিছিল। ইহুদীদের সাথে হযরত মুহাম্মদ (স.) জামাকে তুলনা করায় মৌলভীবাজারে প্রতিবাদ। কালিয়াকৈর চাপাইর তুরাগ নদীতে বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার। উল্লাপাড়ায় শ্রমিক লীগ নেতার বিরুদ্ধে গৃহবধূকে ধর্ষণের চেষ্টা অভিযোগ।
সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:৪৮ অপরাহ্ন

৩৭ বছর পর আবারো আলোর মুখ দেখবে উল্লাপাড়ার প্রথম শহিদ মিনার।

উল্লাপাড়া( সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ / ৩১৬ বার পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : শনিবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২২

৩৭ বছর পর আবারো আলোর মুখ দেখবে উল্লাপাড়ার প্রথম শহিদ মিনার।


সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ার উপজেলায় প্রথম নির্মিত শহিদ মিনারটি প্রায় ৩৭ বছর পর নতুন করে আলোর মুখ দেখছে। আশির দশকের মাঝামাঝি সময় থেকে এই শহিদ মিনারটি চারপাশের গাছপালা ও লতা গুল্মে ঢেকে যায়। বন্ধ হয়ে যায় এই শহিদ মিনার পাদদেশে অমর একুশের সব আয়োজন। এবছর উল্লাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দেওয়ান মওদুদ আহমেদের নিজস্ব উদ্যোগে অবহেলিত এই শহিদ মিনারটি সংস্কারের ব্যবস্থা নিয়েছেন। পরিস্কার করা হয়েছে মিনারটিকে আকরিয়ে ধরা লতাপাতা ও চার পাশে জন্মানো আগাছার জঙ্গল।

ইতোমধ্যেই এর মিনারগুলোর সংস্কার শেষ করে প্রাথমিকভাবে সাদা রং করা হয়েছে। শুরু হয়েছে মিনার রাঙ্গানোর কাজ।

স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে উল্লাপাড়া রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় বগুড়া-নগরবাড়ি মহাসড়কের পাশে সড়ক ও জনপদ বিভাগের জায়গায় শহিদ মিনারটি নির্মান করা হয়। ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত স্থানীয় বাসিন্দারা শহিদ মিনারটিতে একুশে ফেব্রুয়ারিসহ বিভিন্ন জাতীয় দিবসে ফুল দেওয়া ও নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করতেন। পরবর্তী সময়ে পার্শ্ববর্তী গাছপালা বড় হয়ে এদের ডালপালায় পুরো মিনারটি ছেয়ে যায়। অযত্নেঅবহেলায় লতাপাতা ও গুল্মে ঢেকে যায় মিনারের গা ও পাদদেশ। পুরো অন্ধকারে আচ্ছাদিত হয় শহিদ মিনারটি। বন্ধ হয়ে যায় সকল অনুষ্ঠান আয়োজন।

উল্লাপাড়ার প্রথম শহিদ মিনার নির্মাতাদের মধ্যে বেঁচে থাকা কয়ড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা খোরশেদ আলম জানান, ৭২ এর প্রথম দিকে স্থানীয় নবগ্রাম গ্রামের সে সময়ের ছাত্রলীগ নেতা মোজাম্মেল হক মজনুর (প্রয়াত) নেতৃত্বে উল্লাপাড়ার সাবেক এমপি আওয়ামী লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল লতিফ মির্জা (প্রয়াত), বীর মুক্তিযোদ্ধা গিয়াস উদ্দিন আলমগীর (প্রয়াত), বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল আজিজ মির্জা (প্রয়াত), বীর মুক্তিযোদ্ধা চৌধুরী ইফতেখার মবিন পান্না (প্রয়াত) এই শহিদ মিনারটি নির্মান করেন।

পার্শ্ববর্তী তদানিন্তন পিডাবডি’র গুদাম থেকে রড সিমেন্ট সংগ্রহ করে এটি তৈরি করা হয়। এই শহিদ মিনার তৈরির মাস দেড়েক পর উল্লাপাড়া উপজেলা সদরে থানার মোড়ে অবস্থিত বর্তমানে উপজেলা কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার হিসেবে পরিচিত শহিদ মিনারটি নির্মান করা হয়। আর উপজেলা সদরে পরে নির্মিত এই শহিদ মিনারটিতেই কয়েক যুগ ধরে একুশের সকল অনুষ্ঠান আয়োজন হয়ে আসছে।

উল্লাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দেওয়ান মওদুদ আহমেদ জানান, তিনি কিছুদিন আগে প্রথম নির্মিত অবহেলিত শহিদ মিনারটির বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে অবহিত হন। এরপর ওই শহিদ মিনারটি সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছেন। এবছর একুশে ফেব্রুয়ারিতে এই শহিদ মিনারে আবারো স্থানীয় বাসিন্দারা ফুল দিয়ে ভাষা শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর সুযোগ পাবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন ইউএনও।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর