মোংলায় ইট সলিংয়ের রাস্তা কেটে মাটির রাস্তা,প্রকল্পের টাকা আত্মাৎ এর অভিযোগ।
জনগনের ইট সলিংয়ের রাস্তা কেটে ওই রাস্তার উপরই মাটির রাস্তার করার অভিযোগ উঠেছে মোংলার মিঠাখালী ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বর তুষার পোদ্দারের বিরুদ্ধে। মিঠাখালী ইউনিয়নের নিতাখালী গ্রামে কাবিখা প্রকল্পের(কাজের বিনিময়ে খাদ্য) আওতায় হচ্ছে এই কাজ।
তবে এই অনিয়মের কথা স্বীকার করে মেম্বর তুষার পোদ্দার বলেন তার চেয়রম্যান উৎপল কুমার মন্ডল যেভাবে বলেছেন সেভাবেই কাজ হচ্ছে।
এদিকে ইট সলিংয়ের রাস্তা কেটে মাটির রাস্তা করে কাবিখার বরাদ্দ সাত টন চাল আত্নসাতের অভিয়োগ উঠেছে চেয়ারম্যান উৎপলের বিরুদ্ধে। নিতাখালী গ্রামের রেজাউল হাওলাদার, মোঃ এমদাদুল, মিজান ফকির, মুখন্ধ হালদার ও নিতাই হালদার এই অভিযোগ করে বলেন,নতুন চেয়ারম্যান হয়ে উৎপল কুমার মন্ডল নানা অনিয়ম
শুরু করেছেন। তারা বলছেন,ইটের সলিং রাস্তা কেটে এখানে মাটির রাস্তা করায় প্রমান হয় তিনি দূর্ণীতি করেছেন।
এদিকে এই অনিয়মের খবর শুনে শুক্রবার (১৮ ফেব্রুয়ারী) স্থানীয় সাংসদ ও জলবায়ু,বন ও পরিবেশ মন্ত্রনালয়ের উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার ও ইউএনও কমলেশ মজুমদার সেখানে যান। অনিয়মের সত্যতা পাওয়া গেছে জানিয়ে ইউনও কমলেশ মজুমদার বলেন, উপমন্ত্রীর নির্দেশে সংশ্লিষ্টদের রাস্তা আরও দুই ফুট উঁচু করে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। আর যারা অনিয়ম করতে চেয়েছিল তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মোঃ জাফর রানা বলেন,বৃহস্পতিবারই (১৭ ফেব্রুয়ারী) অনিয়মের খবর পেয়ে সেখানে যাই এবং কাজ বন্ধ করে দেই। কাবিখা প্রকল্পের কাজে কোনও অনিয়ম হলে বরাদ্দের চাল ছাড় হবেনা
বলেও জানান তিনি।
জানতে চাইলে এবিষয়ে মিঠাখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান উৎপল কুমার মন্ডল দাবি করেন, আমার বিরুদ্ধে একটা গ্রুপ লেগেছে, তারা আমাকে কোন কাজ করতে দিচ্ছে না। আর অনিয়মের বিষয়ে তিনি সামনে এসে কথা বলবেন বলে এই প্রতিবেদকে জানান।
প্রসঙ্গত,এর আগে চেয়ারম্যান উৎপল কুমার মন্ডল ৪০ দিনের কর্মসূচি কাজ না করে টাকা আত্সাতৎ এবং শ্রমিকের তালিকায় নিজের ভাইয়ের নাম দিয়ে বিতর্কের মুখে পড়েন।