ভারশোঁ ইউনিয়ন পরিষদের বিদ্রোহী আলতাজের দিবাস্বপ্নে গুলেবাড়ি।
নৌকার বিরুদ্ধে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে ঘোড়া প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করে পরাজিত হয়ে চেয়ার পেতে দিবাস্বপ্ন দেখে বিজয়ী নৌকা প্রতীকের তরুন উদীয়মান মান মুস্তাফিজুর রহমান সুমনের নিকট পরাজিত হয়ে তার শপথ বন্ধ করতে দেশের উচ্চ আদালত মহামান্য হায় কোর্টের এক আদেশ পেয়ে ক্ষমতার খোয়াব গুনতে থাকেন আলতাজ।কিন্তু তার আদেশের বিরুদ্ধে দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টে আপিল করলে বিজ্ঞ বিচারকগণ সে আদেশ স্থগিত করে দেন।
এর আগেও আলতাজ উপজেলা নির্বাহী অফিসার,নির্বাচন অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করলেও প্রমানের অভাবে সব বাতিল হয়ে পড়ে।তারপরও থামেন নি বিএনপি জামাত মদদ পৃষ্ট আলতাজ।এক আদেশ পেয়ে তার দাঙ্গা বাহিনী নৌকার কর্মী সমর্থকদের উপর একাধিক হামলা মামলা করতেই থাকেন। এমনকি নৌকার অনেক নেতাকর্মী বাড়িঘর পরিবার ছাড়া।
এতই কালো টাকার দাপট আলতাজের যে, নৌকার চেয়ারম্যান কে মামলা দিয়ে হেনেস্তা এবং নেতাকর্মীদের উপর একাধিক হামলা মামলার পর উপজেলা জেলা পর্যায়ের নেতারা একেবারেই নিরব, সেই সাথে রহস্য জনক কারনে স্হানীয় প্রশাসনও এক প্রকার গা ছাড়া।ভুক্তভোগীরা নিরবের কারন হিসেবে আলতাজের কালো টাকার ছড়াছড়িকেই দায়ী করছেন।নচেৎ কেন নৌকার চেয়ারম্যান নেতাকর্মীদের এমন করুন অবস্থার মধ্যে পড়তে হবে।মনে হয় দেশের এক ভিন্ন স্হান ইউনিয়নটি।রাজশাহীর তানোর উপজেলার একেবারে সীমান্ত এলাকা ভারশোঁ ইউপি তে এমন অবস্থা।
এতে করে আলতাজের অবস্থা এখন কুল কিনারাহীন।না আছে দলে জায়গা না পাচ্ছেন নেতাকর্মীদের।ফলে বিপদগামী আলতাজের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্হা না নিলে চৌবাড়িয়া বাজারে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম হবে বলে মনে করেন তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা।
এদিকে স্থগিতের আদেশের খবর ছড়িয়ে পড়লে ভারশোঁ ইউপি আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী এবং দলমত নির্বিশেষে সাধারণ মানুষের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার সৃষ্টি হয়েছে, বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ। অন্যদিকে আলতাজ ও তার সমর্থকদের মধ্যে দেখা দিয়েছে চরম হতাশা, চোঁখেমুখে ফুটে উঠেছে মলিন মুখের ছাপ।
তৃণমুলের ভাষ্য, চেয়ারম্যান সুমনকে ঠেকানো তো পরের কথা আত্মসম্মান নিয়ে রাজনীতির মাঠে আলতাজের টিকে থাকাই কঠিন হয়ে পড়েছে। একদিকে দলীয় চাপ অন্যদিকে না পাওয়ার বেদনা ও হতাশা ভর করেছে তার উপর। ইতমধ্যে দলের আদর্শিক জৈষ্ঠ ও ত্যাগী নেতাকর্মীরা আলতাজকে ত্যাগ করেছে,
পাশাপাশি তৃণমুলের নেতাকর্মীরাও তার উপর থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে এতে চরম সঙ্কটে পড়েছে তার রাজনৈতিক ক্যারিয়ার। সবকিছু মিলে তিনি নিজ ঘরে পরবাসী বা বাঁবুইভেঁজা (সবকিছু থেকেও নাই) হয়ে পড়েছে বলে জোর আলোচনা রয়েছে।এছাড়াও গত জানুয়ারি মাসে নৌকার দুই কর্মী ফারুক ও আতাউর আলতাজ বাহিনীর বিপক্ষে অভিযোগ এবং মামলা করার পর থেকে বাড়িঘর পরিবার ছাড়া। তারা কোনভাবেই এলাকায় যেতে পারছেনা। তারপরও নিরব ভূমিকায় মান্দা থানা প্রশাসন।
স্থানীয়রা বলছে, আলতাজ নির্বাচনে পরাজিত তার অনুগতদের দিয়ে বলাক্ষেত্র বিলের সুইস গেট ভেঙ্গে সাধারণ কৃষকের প্রায় হাজার বিঘার মত বোরো ধান পানিতে ডুবিয়ে দিয়েছে, কথিত ভুমিহীনদের দিয়ে খাস জমি জবরদখল, মামলা-হামলা দিয়ে সাধারণ মানুষের জীবন অতিষ্ঠ করে তুলেছে।
সেই সুইস গেট ভাঙ্গার কারনে তানোরের বিল কুমারী বিলের হাজার হাজার বিঘা বোরো ধান পানিতে তলিয়ে গেছে। যার কারনে হাজার হাজার কৃষক সর্বশান্ত হয়ে পড়েছেন। শুধু মাত্র আলতাজ বাহিনীর খাম খেয়ালীর কারনে এঅবস্হার সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু নানা ফন্দিফিকির-কৌশল-ষড়যন্ত্র-মামলা ইত্যাদি করেও তো চেয়ারম্যান সুমনকে ঠেকাতে পারলেন না, আবার নিজেও হতে পারলেন না, তার কারণে যে শত শত সাধারণ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হলো এর দায় নিবে কে ?। বীর মুক্তিযোদ্ধা সেকান্দার আলী জানান আলতাজ মুজিব আদর্শে বিশ্বাসী না।এজন্যই তিনি নৌকার বিজয়ী চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মামলা করে প্রমান করেছেন।
তাই তার শুধু বহিষ্কার না আইনের আওতায় আনা হোক এবং দল যেন কঠোর ব্যবস্হা গ্রহণ করেন। আলতাজ চৌবাড়িয়া হাট নিয়েই তার বাহাদুরি। প্রতি হাটে মোটা অংকের টাকা পেয়ে থাকে। এই সূর্য সন্তানের আশঙ্কা তালমাতাল আলতাজ বাহিনী চৌবাড়িয়া হাট ঘিরে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করবে। কারন ভোটের পর তার বাহিনীর জন্য নৌকার কর্মী সমর্থক ও ভোটাররা চৌবাড়িয়া হাটে পর্যন্ত যেতে পারেনি।তার খুটির জোর কোথায়, সে এত কিছু করার পরও কেন প্রশাসন নিরব ভূমিকায়।
এবিষয়ে জানতে চাইলে ভারশোঁ ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান সুমন বলেন, তিনি জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন, অথচ তার বিজয় ঠেকাতে ব্যর্থ হয়ে জামায়াত-বিএনপির আর্শিবাদ পুষ্ট হয়ে আলতাজ উদ্দিন প্রামানিক নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে।
তিনি বলেন, জনগণের ভালবাসা ও দোয়ায় তিনি সর্বোচ্চ আদালত থেকে ন্যায় বিচার পেয়েছেন, এতে ষড়যন্ত্রকারিরা পরাজিত হয়েছেন। এবিষয়ে বিদ্রোহী আলতাজের ব্যক্তিগত ০১৭১৮-৬৭৩৮৬৭ এই মোবাইল নম্বরে একাধিকবার ফোন দেওয়া হলেও তিনি রিসিভ করেন নি।
মান্দা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নাজিম উদ্দীন মন্ডল জানান, আলতাজ দল থেকে অটো বহিষ্কার হয়েছে। আমরা বিদ্রোহী প্রার্থী ও তার সহযোগীর তালিকা জেলা নেতাদের দেওয়া হয়েছে। এখন শুধু কাগজে বহিষ্কার বাকি।তবে আসা করছি অল্পদিনের মধ্যেই বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত আসবে।