লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জ থানায় জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে বাড়ি ফেরার পথে দুর্বৃত্তোদের হামলায় দুই ছাত্রলীগ নেতা গুরুতর আহত হয়েছেন। শনিবার (১৫ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ৯টার দিকে সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ বাজারের সমতা সিনেমা হলের সামনে এই হামলার ঘটনা ঘটে। হামলার প্রতিবাদে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা চন্দ্রগঞ্জ বাজারে বিক্ষোভ মিছিল করেন।
আহতরা হলেন, চন্দ্রগঞ্জ থানা ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক কাজী মামুনুর রশিদ বাবলু ও চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম জিকু। বাবলু মাথায় এবং জিকুর চোখ ও মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হন। তাদের সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের দেখতে জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি এম আলাউদ্দিন হাসপাতালে যান।
আহতরা আমারজমিনকে জানান,চতুর্থ ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আইনুল আহমেদ তানভীরের পক্ষে তারা কাজ করেছেন। এজন্য ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী বিজয়ী নুরুল আমিনের লোকজন তাদের হুমকি দিয়ে আসছিলো। ঘটনার সময় পরিকল্পিতভাবে মনির,তাজু, রিয়াজ,নোমান, আজিম ও রনিসহ প্রায় ২০-২৫ জন দুর্বৃত্ত অতর্কিত হামলা চালায়।
স্থানীয়রা জানান, নুরুল আমিন চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। এর আগে ২০২০ সালের ২০ অক্টোবর উপ-নির্বাচনে নৌকা নিয়ে ভোট করে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন।
আহত কাজী মামুনুর রশিদ বাবলু বলেন, নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী পরাজিত হওয়ার পর থেকে নুরুল আমিনের ক্যাডাররা আমাদেরকে হুমকি দিয়ে আসছে। বিষয়টি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতারাসহ আমরা শনিবার সন্ধ্যায় চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে বিষয়টি অবগত করি এবং জীবনের নিরাপত্তা চাই।থানা থেকে মোটরসাইকেল যোগে বাজারে যাওয়ার পথে ওই সন্ত্রাসীরা আমাদের উপর হামলা করে।
অভিযোগের বিষয়ে নুরুল আমিন বলেন, হামলার ঘটনাটি শুনেছি। কিন্তু ঘটনার সাথে আমি বা আমার লোকজন জড়িত নয়। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে ঘটনার দায় আমার ওপর চাপানো হচ্ছে।
চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একে ফজলুল হক বলেন, থানা থেকে বের হয়ে যাওয়ার পর তারা হামলার শিকার হয়েছে বলে জেনেছি। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুলিশ সতর্ক রয়েছে। অভিযোগ পেলে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।