মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের জাতীয় সাংসদ এম এ শহীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। গতকাল (০২ জানুয়ারি) রোববার রাতে উপজেলার মুন্সীবাজারে এ ঘটনা ঘটেছে।এই হামলার ঘটনায় সাংসদ শহীদের কিছু না হলেও তাঁর ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস), গানম্যানসহ পাঁচজন আহত হয়েছেন। সাংসদের দাবি, রহিমপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী জুনেল আহমেদ তরফদারের সমর্থকেরা এ হামলা চালিয়েছেন।
এদিকে হামলার ঘটনার পর নৌকার প্রার্থী ও বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। রহিমপুর ইউপিতে সাংসদ শহীদের ভাই ইফতেখার আহমেদ চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন। এ ঘটনায় গতকাল রাতেই ইফতেখারের প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট ইমতিয়াজ আহমেদ বাদী হয়ে ৩৫ জনকে আসামি করে কমলগঞ্জ থানায় একটি মামলা করেছেন।
ইমতিয়াজ আহমেদের ভাষ্য, গতকাল রাত সাড়ে নয়টার দিকে সাংসদ শহীদ ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে মুন্সীবাজারে তাঁর ভাই ইফতেখার আহমেদের নির্বাচনী কার্যালয়ে যান। কিন্তু ওই সময় ইফতেখার নির্বাচনী কার্যালয়ে না থাকায় তাঁর ভাই সেখানে বসে অপেক্ষা করছিলেন। এ সময় বিদ্রোহী জুনেল আহমেদের নির্দেশে তাঁর সমর্থকেরা অতর্কিতে সাংসদের ওপর হামলা চালানোর চেষ্টা করেন। এ সময় তাঁর ভাইয়ের পিএস ইমাম হোসেন, গানম্যানসহ পাঁচজন গুরুতর আহত হন।
এ বিষয়ে সাংসদ এম এ শহীদ বলেন, তিনি ব্যক্তিগত সফরে গতকাল সন্ধ্যায় শমশেরনগরে তাঁর এক ছাত্রের বাসায় যান। সেখান থেকে গ্রামের বাড়ি সিদ্ধেশ্বরপুর হয়ে শ্রীমঙ্গল ফেরার পথে ছোট ভাইয়ের সঙ্গে দেখা করতে যান। এ সময় পূর্বপরিকল্পিতভাবে জুনেল আহমেদের নির্দেশনায় এ হামলা চালানো হয়েছে। তিনি নির্বাচনী প্রচারণা কিংবা প্রভাব বিস্তার করতে আসেননি, ব্যক্তিগত কাজে সেখানে গিয়েছিলেন বলে দাবি করেন।
এদিকে হামলার খবর পেয়ে চেয়ারম্যান প্রার্থী ইফতেখার আহমেদসহ সমর্থকেরা ঘটনাস্থলে আসেন। এরপর ইফতেখার ও জুনেল আহমেদের সমর্থকদের মধ্যে কয়েক দফা পাল্টাপাল্টি ধাওয়া হয়। খবর পেয়ে কমলগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সোহেল রানার নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে জুনেল আহমেদ বলেন, নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে সাংসদ শহীদ প্রভাব বিস্তার করতে চেয়েছিলেন। তিনি হামলার সঙ্গে জড়িত নন। তিনি হামলার নির্দেশও দেননি। স্থানীয় লোকজন ক্ষুব্ধ হয়ে এ ঘটনা ঘটিয়েছেন।
পরিদর্শক সোহেল রানা বলেন, মামলায় ৩৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। তদন্তের স্বার্থে এ মুহূর্তে কারও নাম প্রকাশ করা যাবে না। এ ঘটনায় তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।