শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে। বিশেষ করে ছিন্নমূল ও খেটে খাওয়া শ্রমজীবী মানুষ বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন। তা ছাড়া এই সময়ে ঠান্ডাজনিত রোগেও ভুগছেন শিশু ও বৃদ্ধরা।
ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার রাতোর,ধর্মগড়,লেহেম্বা, সন্ধারই,নয়ানপুর,হাটগাঁও,ক্ষুদ্র বাশঁবাড়ী ও রাউতনগরসহ বেশ কিছু এলাকার দিনমজুরদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শীত বস্ত্রের অভাবে অনেকে ঠান্ডায় কাহিল হচ্ছেন।
দিন দিন হিমেল হাওয়া বেশি করে অনুভূত হচ্ছে। এতে প্রশাসন থেকে তেমন পদক্ষেপ না নিলেও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলো শীতবস্ত্র বিতরণসহ বিভিন্ন কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
সন্ধারই এলাকার প্রতিবন্ধী আব্দুস সবুর মিয়া বলেন, ‘হাঁটা চলা করতে পারি না। দিনের রোদে কিছুটা স্বস্তি পেলেও রাতে আর ভোরে ঠান্ডায় কাহিল হয়ে পড়ি। প্রতিবন্ধী হয়েও একটি কম্বল বা শীত বস্ত্র পায় না।
রাণীশংকৈলে সরকারিভাবে চেয়ারম্যান মেম্বার ও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শীতবস্ত্র বিতরণের তেমন তৎপরতা লক্ষ্য করা না গেলেও কিছু স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের শীতবস্ত্র বিতরণ কার্যক্রম চলছে। এর মধ্যে রাণীশংকৈল ফেসবুক ব্যবহারকারী গ্রুপের সদস্যদের শীতবস্ত্র বিতরণে ভালোই তৎপরতা দেখা গেছে।
উপজেলার আট ইউপির মধ্যে পাঁচটিতে সদ্য নির্বাচন হওয়ায় নতুন চেয়ারম্যানেরা এ বিষয়ে কিছু বলতে পারছে না। তবে বাকি তিন চেয়ারম্যানের মধ্যে হোসেনগাঁও ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মাহাবুব আলম বলেন,মাত্র ২৫০টি কম্বল উপজেলা প্রশাসন থেকে পাওয়া গেছে। এখনো তা বিতরণ করা হয়নি।’ তিনি অভিযোগ করে বলেন,এত বড় একটি ইউনিয়নে বরাদ্দকৃত কম্বল আসলে অনেক কম।
উপজেলার রাতোর ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর এলাকার খগেণ বিশ্বাস ও মালা রাণী বিশ্বাস জানান, মাছ ধরে পরিবারের দিনের খরচ মেটাতে পারছেন না তাঁরা, সেখানে গরম কাপড় কেনা স্বপ্নের মতো। তাই শীতে কষ্ট করে দিনরাত পার করতে হচ্ছে তাঁদের।
আবহাওয়া ও কৃষি পর্যবেক্ষণাগার সূত্রে জানা যায়, এক সপ্তাহ ধরে রাণীশংকৈলে ৯ থেকে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে তাপমাত্রা বিরাজ করছে। রবিবার ১০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার আব্দুস সামাদ চৌধুরী জানান,স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা কিছুটা বেড়েছে। এদের মধ্যে শিশু ও বয়স্কদের সংখ্যা বেশি।