জিতু আহমদ,ওসমানীনগরঃ আসন্ন ষষ্ঠ ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলার ৮ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীরা ইতিমধ্যে প্রচার-প্রচারণায় ব্যস্ত হয়ে পড়েছে।
নিজেদের প্রার্থীতা জানান দিতে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন স্বতন্ত্র চেয়ারম্যা প্রার্থীরা। ভোটের মাঠ দখলে নিতে আগেবাগেই মাঠে নেমেছেন বিএনপিপন্থী স্বতন্ত্র প্রার্থীরাও। তবে,দলীয় প্রতিক পেতে আওয়ামীলীগের প্রার্থীরা এখনো রয়েছেন কেন্দ্রের দিকে তাকিয়ে।
জানা গেছে,উপজেলার ৮ টি ইউনিয়নে আ’লীগের তৃণমূলের ভোটে প্রার্থী বাছাইয়ের পর থেকে ভিতরগত দলীয় কোন্দল প্রকাশ্যে আসছে। ফলে একাধিক বিদ্রোহী প্রার্থীর আশঙ্কায় রয়েছে।
একই ইউনিয়ন থেকে একাধিক প্রার্থী থাকায় আওয়ামীলীগের গুরুত্বপূর্ন পদদারী নেতারও বিদ্রোহী হওয়ার গুঞ্জুন শুনা যাচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে দায়িত্বশীলরা ভূমিকা না নিলে বৃদ্ধি পেতে পারে দলীয় কোন্দল। এমনটিই মনে করছেন আওয়ামীলীগের তৃণমূল পর্যায়ে নেতাকর্মীরা।
একটি ইউনিয়নে একক প্রার্থী ছাড়া বাকি ৭ ইউনিয়নে একাধিক প্রার্থী থাকায় সমঝতা না হওয়ায় অনুষ্ঠিত হয় তৃণমূলের ভোট। তৃণমূলের ভোটের পর থেকে নানা অভিযোগ তুলে একাধিক প্রার্থীরা বিদ্রেহী হয়েও নির্বাচনে অংশ নেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
এদিকে,দলীয় ভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহন না করলেও কৌশলে বিএনপির একাধিক প্রার্থীরা সতন্ত্র হয়ে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন। সতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার কারণে আগেবাগেই নেমে পরেছেন প্রচার প্রচারণায়। নিজেদের প্রার্থীতা জানান দিতে যাচ্ছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে। ভোটারদের আকৃষ্ট করতে নির্বাচনী সভারও আয়োজন করছেন প্রার্থীরা। সভায় দিচ্ছেন নানা প্রতিস্রুতি। সব মিলিয়ে নির্বাচনী হাওয়া বইছে ওসমানীনগর উপজেলার ইউনিয়নগুলোতে। সাধারণ ভোটরদের মনেও দেখা দিয়েছে উচ্ছাস।
ইতিমধ্যে প্রার্থীরা উপজেলা নির্বাচন অফিস থেকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করতে শুরু করছেন। তফসিল ঘোষণার পরপরই সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। আওয়ামলীগের দলীয় প্রার্থী বাছাই করতে তৃণমূলের নির্বাচনে যারা এগিয়ে রয়েছেন মনোনয়ন নিশ্চত করতে এখন তারা হয়েছেন কেন্দ্রমুখী। দলীয় মনোনয়ন নিশ্চিত করতে ঢাকায় অবস্থান করছেন তৃণমূলে পিছিয়ে পরা একাধিক প্রার্থীও।
ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী মনোনয়ন দাখিলের শেষ দিন রাখা হয়েছে ৩ জানুয়ারি। বাছাই ৬ জানুয়ারি। প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ১৩ জানুয়ারি এবং প্রতীক বরাদ্দ ১৪ জানুয়ারি। ভোট গ্রহন হবে ৩১ জানুয়ারি।