শীত মৌসুম পুরোপুরিভাবে শুরু না হলেও ভেজাল খেজুরের গুড়ে সয়লাব ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার হাট বাজারগুলোয়। বিভিন্ন জেলা থেকে এসব ভেজাল গুড় এনে বাজারজাত করছে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। এতে স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়ছে উপজেলার সাধারণ মানুষ।
জানা যায়,মৌসুমের আগেই উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় শুরু হয়েছে শীতের পিঠা বিক্রি। এতে চাহিদা বাড়ায় বেড়েছে পাটালি ও খেজুরের গুড় বিক্রি। রাণীশংকৈল উপজেলায় গুড় ব্যবসায়ী রয়েছেন প্রায় ২৫ জনের মত।
বেশি লাভের আশায় শীত মৌসুমের আগেই নাটোর রাজশাহী নওগাঁ ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ভেজাল পাটালি ও খেজুর গুড় কিনে আনছেন তাঁরা। নিম্নমানের ঝোলা ও নরম গুড় গলিয়ে তাতে চিনি, রং,হাইড্রোজ,সোডা,ফিটকিরি,পাথুরে চুন ও বিশেষ গাছের ছালের গুঁড়া দিয়ে তৈরি করা হয় এসব গুড়। গুড়ের চাহিদা ও উৎপাদন খরচ পুষিয়ে নিতে প্রতি ১০ লিটার রসে দুই কেজি চিনি মেশানো হয়।
গুড়ের রং ফরসা ও গুড় শক্ত করতে মেশানো হয় চিনি।এই গুড়ে প্রকৃত স্বাদ-গন্ধ থাকে না। এই গুড় প্রতি কেজি ১২০ থেকে ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
নেকমরদ এলাকার গুড় ব্যবসায়ী মোকসেদ আলী বলেন,আমরা বাইরে থেকে পাইকারি দরে গুড় কিনে এনে বিক্রি করছি। ভেজালের বিষয়টা আমার জানা নেই।
উন্মে হাবিবা নামে এক গৃহিণী বলেন,বাজারে খেজুরের গুড় দেখলাম,তাই ছেলেমেয়ে পিঠা খাওয়ানোর জন্য কিনলাম। তবে এতে ভেজাল আছে কিনা জানি না।
রাণীশংকৈল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে হাসপাতালের মেডিকেল আবাসিক অফিসার ডাক্তার ফিরোজ আলম বলেন,যদি এসব গুড়ে ক্ষতিকারক কেমিক্যাল মেশানো হয়ে থাকে,তবে তা হার্ট ও কিডনিসহ স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর বলে মনে করেন তিনি।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার ও সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক শেখ সাদি আহমেদ বলেন,ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার মাধ্যমে ভেজাল গুড় বিক্রেতাদের দ্রুত বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।