সোহেল হোসেন,লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধিঃ লক্ষ্মীপুরে নবাগত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এমরান হোসেন ও পুলিশ প্রশাসন ভূমিদস্যুদের পক্ষে কাজ না করায় তাদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজ ও প্রতারক চক্রের হোতা হোসাইন আহম্মদ হেলাল সহ কয়েকজন মিলে পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছেন। শুক্রবার সন্ধ্যার পর লক্ষ্মীপুর সম্পাদক ও প্রকাশক পরিষদের উদ্যোগে আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদের এক জরুরী সভা করা হয়েছে।
লক্ষ্মীপুরের চররমনীতে হেল্লাইল্ল্যার চরে জবর দখলকৃত হেলাল বাহিনীর কবল থেকে দিনভর সরকারি বিপুল পরিমানের সম্পত্তি থেকে উচ্ছেদ এবং তাতে অবৈধ সহায়তা না পেয়ে প্রশাসনের বিরুদ্ধে এ চক্রান্তে লিপ্ত রয়েছে বলে জানা গেছে।
এ ছাড়া লক্ষ্মীপুর প্রেসক্লাবের বিপুল পরিমানের টাকা আত্মসাৎ, সদস্যদের সাথে ক্ষমতার অপব্যাবহার,অসদাচরন সহ নানা বিতর্কিত কর্মকান্ডের দায়ে (হেলাল, মালেক ও কাউসার) সহ তিনজনকে নাজেহাল এবং অবাঞ্চিত করায় প্রচন্ড তোপের মুখে পড়ে তারা।
অদ্ভুত এই পরিস্থিতিতে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে প্রশাসনকে অবৈধভাবে ব্যাবহারে ব্যার্থ চেষ্টা সহ এ সব বিভ্রান্তিতে ক্ষুব্ধ হয় সাংবাদিক সমাজ। ফলে এ প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে সম্পাদক-প্রকাশক পরিষদ।
লক্ষ্মীপুর প্রেসক্লাবের আহব্বায়ক ও দেশ টিভি, ভোরের কাগজের জেলা প্রতিনিধি কামাল হোসেনের সভাপতিত্বে আনুষ্ঠানিক এ সভায় প্রেসক্লাবের কর্মরত সাংবাদিক ও সম্পাদক-প্রকাশক পরিষদের নেতা, সদস্য এবং প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার বিপুল পরিমানের সাংবাদিকরা এতে উপস্থিত ছিলেন। সভার সঞ্চালনা করেন প্রেসক্লাবের সদস্য সচিব জহির উদ্দিন।
সভায় সম্পাদক-প্রকাশক পরিষদের আহব্বায়ক,দৈনিক রবের সম্পাদক ও এসএ টিভির জেলা প্রতিনিধি মোঃ সহিদুল ইসলাম, ইনডিপেন্ডেন্ট টিভি জেলা আব্বাস হোসেন সহ সাংবাদিক নেতাদের দাবী, চাঁদাবাজ ও ভুমিদস্যূ হোসাইন আহম্মদ হেলাল সহ তার কতিপয় সহযোগীরা এবার অবৈধ সুবিধা না পেয়ে উপজেলা এবং পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে বিভ্রান্তি ছড়ানো সহ নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। ফলে সাংবাদিক নেতারা এর তীব্র প্রতিবাদ, নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
সাংবাদিক নেতারা অভিযোগ করেন, সরকার বিরোধীমনা হয়ে ও ভুমিদস্যূ হোসাইন আহম্মদ হেলাল নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে সদর উপজেলার চররমনীতে ভুমিহীনদের বরাদ্ধ দেয়া এবং সরকারে প্রায় কোটি কোটি টাকার ২শ একর সম্পত্তি প্রতারণার মাধ্যমে নামে-বেনামে দখলে নেয়। বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রেসক্লাবের এক সাধারন সভায় সদস্যদের অধিকার থেকে বঞ্চিত করে হয়রানি, প্রতিষ্ঠানের অর্থ আত্মসাৎ,নানা কেলেংকারী সহ বিতর্কিত কর্মকান্ডের দায়ে হেলাল ও তার সহযোগী সহ তিনজনকে অবাঞ্চিত ঘোষনা দেয় ক্ষুব্ধ সাংবাদিকরা।
এই সব ঘটনায় স্থানীয় ইউএনও এবং পুলিশ প্রশাসনকে ব্যাবহারে ব্যার্থ চেষ্টা চালায়। ফলে প্রশাসনের কাছে অন্যায় ও অবৈধ সুবিধা না পেয়ে হেলালের কতিপয় অনুসারী বিভ্রান্তি ও ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে বলে জানা গেছে। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ,হেলাল,মালেক ও কাউসারের প্রতারণায় সংখ্যালুঘু হিন্দু নারী-পুরুষ,ব্যাবসায়ী সহ অর্ধশতাধিক মানুষ কোটি কোটি টাকার প্রতারণার স্বীকার হয়ে এখন প্রায় নিঃস্ব।
এই টাকার জন্য অনেক নারীর পরিবারে বিচ্ছেদ সহ অশান্তির আগুনে পুড়ে ছাই। এই সব ঘটনা সহ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে বলে জানা গেছে।
ফলে বিতর্কিত এসব ব্যাক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যাবস্থা গ্রহন সহ স্থিতিশীল ও স্বাভাবিক পরিবেশ নষ্ট করার দায়ে এদের বিরুদ্ধে দৃষ্ঠান্তমুলক শাস্তি ও গ্রেফতারের দাবী জানিয়েছে সাংবাদিক নেতারা। অন্যথায় সাংবাদিকরা কঠোর কর্মসুচী গ্রহন করবে বলে জানায় প্রতিবাদ সমাবেশে।