সারোয়ার হোসেনঃ রাজশাহীর তানোরের কাঁমারগা ইউনিয়নের (ইউপি) সীমান্তবর্তী ভাঁরশো ইউনিয়নের (ইউপি) মৎস্যজীবী পল্লী সগুনীয়া গ্রামে মারপিটের ঘটনায় জনমনে মিশ্রপ্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে, বিরাজ করছে মুখরুচোক নানা গুঞ্জন, উঠেছে সমালোচনার ঝড়।
স্থানীয়রা জানান, গত রোববার রাতে পুর্ববিরোধের জের ধরে সগুনিয়া গ্রামের মৎস্যজীবী দুথপক্ষের মধ্যে মারপিটের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় গ্রামের আব্দুল গফুর (৫০), হালিমা বেগম (৪৫), খতিব সরদার (৩০) ও সায়েরা বিবি (৫০) আহত হয়। তাঁদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এদিকে একটি বিশেষ গোষ্ঠি ভাঁরশো ইউপি আওয়ামী লীগের সম্পাদক, আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান সুমনের ওপর এই ঘটনার দায় চাপাতে মরিয়া হয়ে উঠেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এদিন সন্ধ্যার পর সগুনিয়া গ্রামের মোড়ে নৌকার চেয়ারম্যান প্রার্থী সুমনের বৈঠক ছিল। রাত ৮টার দিকে নেতাকর্মীদের নিয়ে সুমন সেখানে উপস্থিত হয়ে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেন। এ সময় একটু দুরেই মৎস্যজীবী দুথপক্ষের মধ্যে পুর্ববিরোধের জের ধরে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে মৃদু হাতাহাতির ঘটনা ঘটে তবে এর সঙ্গে সুমনের বিন্দুমাত্র সম্পৃক্ততা নাই। এমনকি আওয়ামী লীগের বিপদগামী কতিপয় নেতার ইন্ধনে কিছু মৎস্যজীবী সুমনকে অবরুদ্ধ ও লাঞ্চিত করার চেষ্টা করে। অথচ একটি বিশেষ গোষ্ঠি এই ঘটনায় সুমনকে জড়িয়ে নানা প্রপাগান্ডা শুরু করেছে। এদিকে এঘটনায় পরস্পরবিরোধী বক্তব্য পাওয়া গেছে, নৌকার প্রার্থী দফায় মারধর ও নানাভাবে হুমকি দিচ্ছেন নৌকার প্রার্থী সুমন ও তাঁর লোকজন। তিনি বলেন, গত ৭ নভেম্বর সন্ধ্যায় পাকুড়িয়া শহীদ বাজার এলাকায় দুই কর্মীকে পিটিয়ে জখম করেছেন সুমনের কর্মী-সমর্থকেরা। মান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিনুর রহমান বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়। তবে এ প্রতিবেদন তৈরীর সময় পর্যন্ত্য এ ঘটনায় থানায় কেউ অভিযোগ করেননি।
এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক গ্রামের একাধিক বয়োজৈষ্ঠ বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকেরা এটা করে দলীয় প্রার্থীর ওপর দোষ চাপাতে পারে, কারন এর আগেও সুমনের মনোনয়ন বাতিলের দাবি করে চৌবাড়িয়া বাজারের রাস্তায় আগুন দিয়ে তান্ডব করেছিল।