তাড়াশ প্রতিনিধিঃ সিরাজগঞ্জের তাড়াশে নৃ-গোষ্ঠী শ্রমিকদের দিন হাজিরা ৩শ টাকা হওয়ায় পারছেন না কিনতে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রবাদি। অনেক কষ্ট করে সংসার চালাতে হচ্ছে।
উপজেলার মাধাইনগর ইউনিয়নের কাঞ্চনেশ্বর গ্রামের মাঠে আমন ধান কাটার সময় ক্ষোভ করে সাংবাদিককে বলেন কর্মরত শ্রমিকগন ।বলাটাই তো স্বাভাবিক। কেন না বাজারের নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রবাদির দাম যে ভাবে বাড়তে আছে তা যদি চলতে থাকে তাহলে শ্রমিক শ্রেনীর জনগনের অবস্থা হবে আরো কষ্টদায়ক। পণ্য বাজারের চাহিদা মিটাতে এসব পেশার মানুষদের হিমশিম খেতে হচ্ছে।
বাজারে গেলেই নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস পত্রের দাম শুনে এসব শ্রেনীর মানুষজন মাথায় হাত দিয়ে চাহিদার অপ্রতুল্য রেখে বাজার করে সংসার চালাচ্ছেন।
সরেজমিনে ১৪ নভেম্বর রবিবার দুপুরের দিকে ধান কাটার ছবি সংগ্রহ করতে গেলে দেখি ওই মাঠে দুলাল চন্দ্র রায়ের জমিতে আমন ধান কাটছে ৮/১০জন নৃ-গোষ্ঠীর শ্রমিক জনগন। সাংবাদিকদের দেখে তারা ক্ষোভে নিজেদের দুঃখ দুর্দশার কথা বলতে থাকে। বলে ভাই কি হবে ছবি তুলে আমাদের দুঃখ কে দেখবে?
নৃ-গোষ্ঠী পরিবারের শ্রমিক মিনতি রানী জানান, সারাদিন কাজ করে শ্রমিকের মূল্য যে টাকা পাই তা দিয়ে আমাদের সংসার চালানো অনেক কঠিন হয়ে পরেছে। দিন অন্তে ৩শ টাকা পেয়ে চাল,ডাল,তরি তরকারী কিনতে গেলে টাকা আরোও ঘাটতি পরে। তার পরেও বাঁচতে হলে তো খেতে হবে। তাই কষ্ট হলেও কোন রকম চাহিদা পুরন করে সংসারের অন্যান্য সদস্যদের মুখে খাবার তুলে দিতে এই দিন মুজুরের টাকা আয় করছি।
এ বিষয়ে ওই জমির মালিক দুলাল চন্দ্র রায় জানান,আমি নিজে ও আমার স্ত্রী এই ধান কাটার কাজ করছি। ধান কাটা ও বহন বাবদ প্রতিদিন ৩শ টাকা করে দেই। আমি নিজেও শ্রমিক। আমরা দিন হাজিরা দিয়ে যে টাকা পাই তা দেিয়ে আমাদের চাহিদা মিটে না। তবে যারা চুক্তিতে ধান কাটছে তারা বিঘা প্রতি ১ হাজার ৫শ থেকে ২ হাজার টাকাতে কাটছে। আর ধান বহন মালিকের দায়িত্বে।
এ ব্যাপারে ওই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আজাহার আলী বলেন, আধুনিক যন্ত্রপাতির ব্যবহার হওয়ায় শ্রমিকের মূল্য কমে গেছে।
আর শ্রমিকের মূল্য কমে যাওয়ায় ও বাজারের নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় শ্রমিক পেশার মানুষদের সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।বাজারের মূল্য নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।