রবিবার, ১৩ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:৩৫ পূর্বাহ্ন

বৃষ্টিতে ‘বিদ্যুৎবিভ্রাট’রাণীশংকৈলে মোমবাতির আলোতে এসএসসি পরীক্ষা।

আনোয়ার হোসেন আকাশ,ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ / ১৫ বার পড়া হয়েছে
প্রকাশের তারিখ ও সময় : বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল, ২০২৫

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:
ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার এসএসসি পরীক্ষাকেন্দ্র গুলোতে মোমবাতি জ্বালিয়ে বাংলা প্রথমপত্র পরীক্ষা দিয়েছে শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) সকালে মোমবাতি জ্বালিয়ে পরীক্ষা দেয় শিক্ষার্থীরা।যদিও রাণীশংকৈল বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার ভোর থেকে ঝড়ের তাণ্ডবে বৈদ্যুতিক লাইনে গাছ পড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় অনেক এলাকায় ‘বিদ্যুৎবিভ্রাট’ ঘটে। পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী পরীক্ষার্থীরা জানান, প্রশ্ন দেওয়ার আগেই বৃষ্টির সঙ্গে সব অন্ধকার হয়ে যায়।
পরীক্ষা শুরুর সঙ্গে সঙ্গেই কর্তৃপক্ষ মোমবাতি দিয়েছে। মোমবাতি জ্বালিয়ে প্রথম পরীক্ষা সম্পন্ন করেছি যা সম্পূর্ণ একটি নতুন অভিজ্ঞতা। এমন কিছু হবে ধারণা ছিল না। মোমবাতির ব্যবস্থা দ্রুত নাহলে বেশি অসুবিধা হয়ে যেত।
একই সঙ্গে উপজেলার কিছু কিছু কেন্দ্রে ভারী বৃষ্টিতে পানি ঘরে প্রবেশ করায় ও অন্ধকারে পরীক্ষায় অংশ নিয়ে দুর্ভোগে পরে শিক্ষার্থীরা।
জানা গেছে, ঠাকুরগাঁও জেলায় এবার এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে ২২ হাজার ৭২৪ জন শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে এসএসসি (সাধারণ) শাখায় ১৭ হাজার ৯৭৭ জন, মাদ্রাসা বোর্ডের অধীনে ২ হাজার ৮০৮ জন এবং কারিগরি শাখায় ১ হাজার ৯৩৯ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে। জেলার মোট পরীক্ষাকেন্দ্র ৪০টি।
পরীক্ষার্থীরা আরও জানায়, প্রশ্নপত্র দেওয়ার আগেই বৃষ্টি ও ঝড় আসে। সঙ্গে সঙ্গে বিদ্যুৎ চলে যায় এবং কক্ষের সব অন্ধকার হয়ে যায়। পরীক্ষা শুরুর সঙ্গেই কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ মোমবাতির ব্যবস্থা করে। প্রতিটি পরীক্ষাকেন্দ্রের প্রতিটি বেঞ্চে মোমবাতি জ্বালিয়ে দেয় কর্তব্যরত পরিদর্শক, শিক্ষকসহ সংশ্লিষ্টরা। মোমবাতি জ্বালিয়ে প্রথম পরীক্ষা সম্পন্ন করে তারা। তবে মোমবাতির আলোতে একটু ঝামেলাতে পড়তে হয়েছে।
‎নেকমরদ সরকারি আলিমুদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের শিক্ষার্থী সায়মন হোসেন বলেন, ‘‘বাইরে ঝড়-বৃষ্টি হওয়ায় কক্ষে বিদ্যুৎ ছিল না। ফলে আমাদের রুমে মোমবাতি জ্বালিয়ে পরীক্ষা দিতে হয়েছে। আলো কম থাকায় প্রশ্ন পড়া ও উত্তর লেখা বেশ কষ্টকর ছিল।’’
‎আরেক পরীক্ষার্থী জুবায়ের বলেন,‘ভিজে কেন্দ্রে আসতে হয়েছে। ‎ঠাণ্ডায় হাত কাঁপছিল, তারপরেও সাহস করে পরীক্ষা দিয়েছি। মোমবাতির আলোয় লেখাও ভালোভাবে দেখা যাচ্ছিল না।’’
‎পরীক্ষাকেন্দ্রে অপেক্ষারত এক অভিভাবক বলেন, ‘‘সকাল থেকেই বৃষ্টি। ছেলেমেয়েরা ভিজে কেন্দ্রে এসেছে। কর্তৃপক্ষ আগে থেকে ব্যবস্থা নিলে এই দুর্ভোগ হতো না।’’
রাণীশংকৈল মাধ্যমিক  শিক্ষা অফিসার মো. তোবারক আলী বলেন, বৈরী আবহাওয়া ও বিদ্যুৎ বিভ্রাটের বিষয়ে কিছু অভিযোগ পাওয়া গেছে। সমস্যাগুলো সমাধানে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রগুলোতে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বাজার থেকে পর্যাপ্ত মোমবাতি এনে পরীক্ষা শুরুর আগেই জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। কিছুসময়  পরীক্ষার্থীদের মোমবাতির আলোয় পরীক্ষা দিতে হয়েছে। পরে বিদ্যুৎ চলে আসে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর