সংবাদদাতা-উল্লাপাড়া থেকে হিরা সরকারঃ
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় ঈদের আগমুহূর্তে পকেটমারদের দৌরাত্ম্যে অতিষ্ঠ উপজেলার জনসাধারণ।
সরোজমিন ঘুরে দেখা যায় পকেটমারদের মুক্তাঞ্চলে পরিণত হয়েছে উল্লাপাড়া পৌর শহর । এছাড়া উল্লাপাড়া পৌর শহরের পুরাতন বাস স্ট্যান্ড, কাপড় পট্টি, গুলিস্তান, ওভারব্রিজ, শ্রীকোলা মোর, উল্লাপাড়া রেলওয়ে স্টেশন সহ সর্বত্র তাদের দৌরাত্ম্য বেড়েই চলেছে। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উল্লাপাড়া শহরের প্রাণকেন্দ্র পুরাতন বাস ষ্ট্যান্ড দাঁড়ালেই চোখে পড়ে পকেটমারদের আনাগোনা। ঘটছে কোনো না কোনো অঘটন। পুরাতন বাস স্ট্যান্ডে অবস্থিত সোনালী ব্যাংক। প্রতিদিন ব্যাংকের গ্রাহকরা আসলেই পকেটমারদের টার্গেট এর শিকার হয়। এছাড়াও দূরদূরান্ত থেকে আগত যাত্রীদের অনুসরণ করে এই পকেটমাররা। সুযোগ পেলে হাতিয়ে নেয়া যায় সবকিছু। প্রতিদিন তাদের হেনস্তার শিকার হন অসংখ্য ব্যাংকের গ্রাহক সহ সাধারণ জনগণ। সোনালী ব্যাংকে আগত বয়স্ক ভাতা, পেনশন, বিধবা ভাতা সহ বিভিন্ন ভাতা তুলতে আসেন যারা। তারাও তাদের শিকারে পরিণত হয়। মাঝেমধ্যেই পরিলক্ষিত হয় বয়স্ক লোক জন কান্নাকাটি করছে। তাদের জিজ্ঞাসা করলে তারা উত্তর দেয় পকেটমাররা তাদের পকেট থেকে মোবাইল ফোন নগদ অর্থ সহ অনেক কিছু মুহূর্তের মধ্যে নিয়ে চলে গেছে। আশপাশের লোকজন তখন তাদের সান্ত্বনা ব্যতীত আর কিছুই দিতে পারেন না।
নাম-পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি সূত্র জানায়, একটি সংঘবদ্ধ পকেটমার চক্র বিভিন্ন দলে ভাগ হয়ে শহরের বিভিন্ন জায়গায় চুরি করে থাকে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী এদের ব্যাপারে জানে। কিন্তু কি এক রহস্যজনক কারণে তারা এদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ নিচ্ছে না।
বিভিন্ন তথ্যে জানা গেছে , এক শ্রেণীর উঠতি নেশা গ্রস্থ শিশু কিশোর, যুবক দল বদ্ধ হয়ে শহরে ঘুরে বেড়ায়। তারা এই সব অপকর্মে জড়িত। সুযোগ পেলেই অপকর্ম করে। কেউ কেউ ধরা পড়ে। নেশাগ্রস্থ বলে সামান্য পিটুনী দিয়েই তাদের ছেড়ে দেয়া হয়। বাড়তি ঝামেলা এবং লজ্জাজনক মনে করে এসব ব্যাপারে কেউ মামলা মোকদ্দমা করতে চান না। এদিকে আসছে ঈদুল ফিতর । এই সময় যেন পকেটমারদের কাছে মৌসুমী সময়। এ অবস্থায় পকেটমার চক্রের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী উঠেছে। এ ছাড়া চোরাই মাল ক্রয়কারীদের ব্যাপারে পুলিশী তৎপরতা প্রত্যাশা করেছে ভুক্তভোগী সাধারণ মানুষ।
এ বিষয়ে উল্লাপাড়া সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) অমৃত কুমার সূত্রধর জানান, উল্লাপাড়া মডেল থানা পুলিশ পকেটমারদের বিরুদ্ধে তৎপর রয়েছে। জনবহুল এলাকাগুলোতে পুলিশি টহল জোরদার করা হয়েছে এবং অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।