সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
সিরাজগঞ্জের খালখুলা বাজার এলাকায় পতিতার মাধ্যমে অনৈতিক অসামাজিক কাজে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশের সোর্স পরিচয় দিয়ে দাপিয়ে বেড়ানো মোবাইল মেকানিক মানিক (ওরফে সোর্স মানিক) কে এক পতিতাসহ আটক করেন এলাকাবাসী।মোবাইল মানিক তাড়াশ উপজেলার বাসিন্দা পরে তাকে তাড়াশ থানায় সোপর্দ করা হয়।
জানা যায়, বিক্ষুব্ধ জনতা ৯ই মার্চ গভীর রাতে তাড়াশ থানার খালখুলা বাজার এলাকা থেকে মানিককে এক পতিতা নারীসহ আটক করে গণধোলাই দেয় এবং পরে তাদের তাড়াশ থানায় সোপর্দ করেন।
সিরাজগঞ্জের রোডের মোবাইল মেকানিক মানিক দীর্ঘদিন ধরে নিজেকে র্যাব ও পুলিশের সোর্স পরিচয়ে হাটিকুমরুল গোলচত্তর সহ বিভিন্ন জায়গায় ছিনতাই ঘটনার সাথে জড়িত ছিলো। দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে সুন্দরি পতিতাদের ভাড়ায় এনে সলঙ্গা, রায়গঞ্জ ও তাড়াশের বিভিন্ন বাজার এলাকায় দেহব্যবসা করতেন।
উল্লেখযোগ্য, আটক মানিকের ছোট ভাই মিজান (ওরফে প্রিন্স মিজান) এর স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতার সাথে সুসম্পর্ক থাকায় এধরনের অপকর্ম করেছেন। মিজান ও তার সহযোগীরা মাদক ও নারী সরবরাহের মাধ্যমে খদ্দেরের কাছে আস্থাভাজন হয়ে উঠেছিল।মোবাইল মেরামতের দোকানে অজুহাতে মানুষের মোবাইল চুরি করার অভিযোগে বিভিন্ন সময় আলোচিত হয়ে ওঠেন তিনি।
বিগত সরকারের আমলে প্রিন্স মিজানকে মাদক বিক্রির সময় র্যাব হাতে আটক হন। সে সময় র্যাবের সোর্স তার কাছে মাদক কিভাবে আসে জানতে চাইলে, মিজান জানিয়েছিল যে পুলিশ ও র্যাব উদ্ধার করা মাদক তার মাধ্যমেই বিক্রি করেছিল। এ ঘটনায় র্যাব তাকে আটক করে এবং আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠায়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে তাড়াশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) নাজমুল কাদের মুঠোফোনে প্রতিবেদককে বলেন,গতকাল গভীর রাতে তাড়াশ এলাকা থেকে জনসাধারণ পতিতাসহ মানিককে আটক করে। পরে তাকে তাড়াশ থানায় সোপর্দ করেন।তাকে থানা হেফাজতে এনে অনৈতিক কাজের সাথে জড়িত থাকায় মানিক ও এক পতিতাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।