ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:
ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার দুওসুও ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী দুও পুকুরের ইজারা মূল্য চার গুণেরও বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। ৩ একর ২৬ শতক আয়তনের এ সরকারি বদ্ধ জলমহালটি ১৪৩২-১৪৩৪ বঙ্গাব্দের জন্য ৯,৮০,০০০ টাকায় ইজারা দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ১৪২৯-১৪৩১ বঙ্গাব্দে একই পুকুর ২,৪০,৭৫০ টাকায় ইজারা দেওয়া হয়েছিল। দীর্ঘদিন ধরে আ.লীগের সিন্ডিকেটের কারণে ইজারার দাম কম ছিল। এবার সেই সিন্ডিকেট ভেঙে ন্যায়সংগতভাবে নিলাম অনুষ্ঠিত হওয়ায় ইজারা মূল্য চার গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে সরকারের রাজস্ব আয় যেমন বেড়েছে, তেমনি প্রকৃত মৎস্যজীবীরাও উপকৃত হবেন।
বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা জ্যোৎস্না আরা বেগম জানান, “বর্ধিত ইজারা মূল্য জলমহালের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা ও মাছ চাষে আগ্রহী উদ্যোক্তাদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধির ফল।”
স্থানীয়রা জানান, পুকুরটি দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় মৎস্যজীবীদের জীবিকার অন্যতম উৎস হিসেবে পরিচিত। ইজারা মূল্য বৃদ্ধিতে সরকারি রাজস্ব আয় যেমন বাড়বে, তেমনি সঠিক ব্যবস্থাপনায় মাছ উৎপাদন ও স্থানীয় অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে আশা করা হচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে আ.লীগের সিন্ডিকেটের মাধ্যমে কম দামে পুকুরটি ইজারা নিয়ে আসছিল। এবার সেই সিন্ডিকেট ভেঙে নিলাম হওয়ায় প্রকৃত মৎস্যজীবীরা ইজারা পেয়েছে এবং সরকারও চার গুণ বেশি রাজস্ব পাচ্ছে।
বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা প্রশাসন জানিয়েছে, নিলাম প্রক্রিয়া স্বচ্ছ ও নিয়মতান্ত্রিকভাবে সম্পন্ন হয়েছে এবং ইজারাদারদের সরকারি নিয়মকানুন মেনে জলমহাল ব্যবস্থাপনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আরাফাত হোসাইন বলেন, ‘দুও পুকুরের ইজারা মূল্য বৃদ্ধি সরকারের রাজস্ব আহরণে নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করেছে। এটি স্থানীয় অর্থনীতিতে ইতিবাচক পরিবর্তন আনবে এবং সরকারি জলমহাল ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতার প্রমাণ বহন করবে।’
এবার দুও পুকুরের ইজারা পেয়েছে আলোকছিপি সিআইজি সমবায় সমিতি লি:। সমিতির সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আমি অনেক খুশি যে সিন্ডিকেট ভেঙ্গে এবার সুন্দর একটি নিলামের মাধ্যমে আমরা ইজারা পেয়েছি। এতে যেমন আমরাও লাভবান হব অন্যদিকে সরকারের রাজস্ব আদায়ও বেড়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা হাসান আলী বলেন, ‘আমাদের এই পুকুরটি মাছ চাষের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ইজারা মূল্য বৃদ্ধির ফলে মাছ চাষের পরিধি বাড়বে এবং স্থানীয় কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে।’
উল্লেখ্য, দুও পুকুরটি ঐতিহ্যগতভাবে স্থানীয় মৎস্যজীবী সম্প্রদায়ের কাছে একটি পরিচিত নাম। এ পুকুরে মাছ চাষের মাধ্যমে এলাকার বহু পরিবার জীবিকা নির্বাহ করে আসছে। ইজারা মূল্য বৃদ্ধির ফলে সরকারি রাজস্ব যেমন বাড়বে, তেমনি স্থানীয় মৎস্য খাতেরও উন্নয়ন হবে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।
Post Views: 15