উল্লাপাড়া(সিরাজগঞ্জ)প্রতিনিধিঃ সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় কোচ-অটোভ্যান সংঘর্ষে কাঠ মিস্ত্রি মোঃ ফারুক হোসেন (৩৩) ও অটোভ্যান চালক রনি মিয়া(২১)’র মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় হারুন অর রশিদ (২৫) ও মোঃ হযরত আলী(২২) নামে দুই কাঠ মিস্ত্রি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে।
বৃহস্পতিবার(২০ ফেব্রুয়ারী) বিকেল পৌনে ৭ টার সময় পাবনা-বগুড়া মহাসড়কের চকিদহ ব্রীজ সংলগ্ন এলাকার চালা গ্রামের আবিদ দারোগার বাড়ির সামনে এই মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে।
নিহতরা হলেন উপজেলার সদর ইউনিয়নের মাগুরাডাঙ্গা গ্রামের মোঃ আব্দুল মালেকের ছেলে মোঃ ফারুক হোসেন(৩৩) একই গ্রামের মোঃ ছানোয়ার হোসেনের ছেলে মোঃ রনি মিয়া(২১)।
আহত ব্যক্তিরা হলেন একই গ্রামের মোঃ সমাজ আলীর ছেলে মোঃ হারুন অর রশিদ(২৪) ও ভেটুয়াকান্দি গ্রামের মোঃ মানিক মিয়ার ছেলে মোঃ হযরত আলী(২২)।
জানা যায় তিন কাঠ মিস্ত্রি বৃহস্প্রতিবার সকালে রনির অটোভ্যান রিজার্ভ নিয়ে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার কড্ডার মোড় এলাকায় ঘর নির্মান করতে যায়। বিকেলে কাজ শেষে ভ্যান যোগে বাড়ি ফেরার পথে চালা গ্রামের আবিদ দারোগার বাড়ির সামনে সৌহার্দ্য পরিবহন নামক হিনোকোচটি আরেকটি যাত্রীবাহী বাসকে ওভারটেক করার সময় অটোভ্যানকে চাপা দিয়ে পালিয়ে যায় এবং অটোভ্যানটি ছিটকে সড়কের নিচে পরে গিয়ে দুমরে মুচড়ে যায়।এতে ঘটনাস্থলে কাঠ মিস্ত্রি ফারুক হোসেন ও ভ্যান চালক রনির মৃত্যু হয়। কাঠ মিস্ত্রি হযরত আলী ও হারুনকে মূমর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে বগুড়া জিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়।
এ তথ্য নিশ্চিত করেন হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মোঃ আব্দুর রউফ। তিনি জানান অটোভ্যান চালক রনি তিন জন যাত্রী নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে পাবনা থেকে ছেড়ে আসা কক্সবাজারগামী সৌহার্দ্য পরিবহনের কোচের সাথে চালা গ্রামের আবিদের বাড়ির সামনে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।এতে ভ্যানটি ছিটকে সড়কের নিচে পরে গিয়ে ভ্যান চালক রনি ও কাঠ মিস্ত্রি ফারুক হোসেনের মৃত্যু হয় এবং ভ্যানে থাকা অপর দুই জন গুরুতর আহত হয়।আহতদের উদ্ধার করে জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।ঘাতক বাসটিকে আটক করা হয়েছে।