স্টাফ রিপোর্টারঃ
প্রত্যেক দেশেরই একটি ঐতিহ্যবাহী মিষ্টান্ন থাকে, যা তাদের খাদ্য ও সংস্কৃতির প্রতিনিধিত্ব করে। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে তা নিঃসন্দেহে পিঠা। আমাদের জন্য পিঠা শুধু একটি খাবারই নয়, স্মৃতির ভাণ্ডারও বটে।
শৈশবে শীতকাল মানেই যেন ছিল মায়ের হাতের বিভিন্ন স্বাদ ও নকশার পিঠা আর সেই পিঠাগুলোর পেছনে ইতিহাসের গল্প শোনা।
পিঠার নাম শুনলেই জিভে জল আসে না এমন বাঙালি পাওয়া যাবে না। বিশেষ করে শীতের পিঠা বাঙালির জীবন ও সংস্কৃতির এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। কিছুদিন আগেও শহুরে সংস্কৃতিতে পিঠার অবস্থান খুব নগণ্য হয়ে পড়েছিল। হারিয়েই যেতে বসেছিল পিঠা। কিন্তু ধীরে ধীরে ফিরে আসছে পিঠা। শহরের বিভিন্ন স্কুল কলেজে পিঠা উৎসব আয়োজনের মাধ্যমে মানুষের মাঝে আগ্রহ বাড়ছে। ফিরে আসছে পিঠা খাওয়ার ধুম। সেই ঐতিহ্যকে টিকিয়ে রাখতে এবং পরবর্তী প্রজন্মের মধ্যে তা ছড়িয়ে দিতে গাজীপুর মহানগরের কাশিমপুরে পিঠা উৎসবের আয়োজন করেন আজিরননেছা পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ।
শিক্ষার্থীদের এসব স্টল থেকে লক্ষধিক টাকার পিঠা বিক্রি হয়েছে বলে জানা গেছে।
এসব স্টলে পিঠার মধ্যে ছিল ধান সেমাই, ভাপাপুলি, দুধপুলি, আওলা কেশরি, পুলি, ঝিনুক, পাঠিসাপটা, জামাই সোহাগী এবং গোলাপ।
আরো ছিল চিতই, কানমুচরি, পায়েশ, পুডিং, তেল পিঠা, দুধ চিতই, ফুল পিঠা, ঘিড়, মুঠা পিঠা, রস গোলাপ এবং কেক।
নানান রকমের বৈচিত্র্যময় স্বাদের এসব পিঠা ভোজনরসিকদের রসনায় জোগাবে ব্যতিক্রমী আনন্দ।
স্কুলে পিঠার এই বিশাল সম্ভারে জানা অজানা পিঠার সাথে পরিচিত হতে পেরে খুশি শিক্ষার্থীরা।
কচিকাঁচা শিক্ষার্থীদের মোবাইল থেকে দূরে রাখতে এবং বাংলার ঐতিহ্যবাহী পিঠার সাথে পরিচিত করাতে আজিরননেছা পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ প্রতিবছর এই আয়োজন করেন বলে তিনি জানান।
এদিকে, নানা রকমের বাহারি পিঠার সঙ্গে উৎসব আঙিনায় স্কুলের নিজস্ব মঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এতে বিভিন্ন ক্লাসের শিক্ষার্থীরা এ সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় অংশ নেন।
Post Views: 35