নিজস্ব প্রতিবেদক:জাতীয় নাগরিক কমিটির মূখ্য সংগঠক সারজিস আলম ভারতকে উদ্দেশ্য করে বলেন, শেখ হাসিনা ভারতের সাথে বৈষম্যমৃলক চূক্তি করেছিলেন। এখন তাদের ব্যবসা বাণিজ্য কমে গেছে। ভারত আবারও ব্যবসার জন্য তাদের জায়গা থেকে কথা বলছে। দেশ ও দেশের বাহির থেকে কেউ অন্যায় করলে আমরা মেনে নেবনা।
রবিবার ১২ জানুয়ারি ২০২৪ ইং, বিকেল ৫ টার সময় মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার সীমান্তবর্তী কুরমা চা-বাগান মাঠে জাতীয় নাগরিক কমিটি আয়োজিত চা-শ্রমিক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
সারজিস আলম চা শ্রমিকদের উদ্যেশে বলেন, আগামীতে কেউ যদি সিন্ডিকেট ও চাদাবাজী করে আপনাদের জায়গা থেকে প্রতিবাদ করবেন। মনে রাখবেন যারা অন্যায় করের তারা সংখ্যায় কম। আপনারা দাঁড়িয়ে গেলে শেখ হাসিনার মতো পালিয়ে যাবে।
তিনি বলেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার চোখ শুধু ঢাকা থেকে তার বাপের বাড়ী টুঙ্গীপাড়া পর্যন্তই সীমাবদ্ধ ছিল। দেশের অন্য কোথাও তার চোখ পড়েনি। চা শিল্পেও শেখ পরিবারে ভাগ বসিয়েছে। চা বাগানে কোন মদের পাট্টা থাকা উচিৎ নয়, সেগুলো ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিতে চা শ্রমিকদের প্রতি অনুরোধ জানান।
তিনি আরও বলেন, চা-শ্রমিকদের অবহেলিত রেখে এ শিল্পের উন্নয়ন করা সম্ভব নয়। তাদের মুজুরি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বাসস্থান ও চাকুরী নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি চা শিল্পকে রক্ষায় ন্যাশনাল টি কোম্পানি (এন.টি.সি) সহ বন্ধ সকল চা-বাগান অবিলম্বে চালু রাখার দাবি জানান।
বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়ন মনু-ধলাই ভ্যালীর সভাপতি ধনা বাউরির সভাপতিত্বে ও চা শ্রমিক আপন বোনার্জী রুদ্র ও ভিম্পল সিংহ ভোলার যৌথ সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন জাতীয় নাগরিক কমিটি যুগ্ম আহবায়ক সারোয়ার তুষার, জাতীয় নাগরিক কমিটি কেন্দ্রীয় সংগঠক প্রীতম দাশ, কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক শ্যামলী সুলতানা জ্যানি, আসাদুল্লাহ গালিব ও কুরমা চা বাগানের সহকারী ব্যবস্থাপক ইউসুফ খাঁন।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, চা শ্রমিক কন্যা সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান খাইরুন আক্তার, স্থানীয় ইউপি সদস্য নুরুল ইসলাম, কুরমা চা বাগান পঞ্চায়েত সভাপতি নারদ পাশী, চা শ্রমিক নারী নেত্রী গীতা কানু, বৈষম্য ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক নাজমিন সুলতানা-সহ অন্যান্যরা প্রমুখ।
Post Views: 27