শনিবার ২১ ডিসেম্বর ২০২৪ ইং, দুপুরে জামায়াতে ইসলামী মৌলভীবাজার জেলা শাখা’র আয়োজিত কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, প্যাসিস সরকার, জাতির ঘাড়ে, চেপে বসে, জাতির সকল অধিকার কেড়ে নিয়েছিল, দেশটাকে শ্মশান কিংবা গোরস্তানে পরিণত করেছিল। ওরা মাঝে মাঝে বলতো- এই দেশে নাকি অনাবিল শান্তি বিরাজ করছে। আমি চিৎকার দিয়ে বলতাম হা শান্তি তোমার স্থাপন করেছ কবরস্থানে শান্তি, কারণ কবরস্থানে কোন মানুষ জীবিত থাকে না, এইজন্যে তাদের হাসি কান্না শোনা যায় না। বাংলাদেশ থেকে তোমরা সমস্ত অধিকার হরণ করে, মানুষের সমস্ত অধিকার হত্যা করে, এরকমই তোমরা গুরুস্তানে পরিণত করেছ, এইজন্য হাসি কিংবা কান্নার শব্দ শোনা যায় না।
মৌলভীবাজার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জেলা জামায়াতে ইসলামী’র আমির ইঞ্জিনিয়ার মোঃ শাহেদ আলীর সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি মোঃ ইয়ামির আলী, সহকারী সেক্রেটারি হারুনুর রশিদের যৌথ পরিচালনায় সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জোবায়ের, ঢাকা মহানগর উত্তরের আমির ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন, সিলেট মহানগর জামায়াতের আমির মোঃ ফখরুল ইসলাম ও সিলেট জেলা আমির মাওলানা হাবিুবুর রহমান প্রমুখ।
আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেন, এই সাড়ে ১৫ বছর খুন-গুমের রাজ্য কায়েম করেছিল, তার জানান দিয়েছিল ক্ষমতায় আসার আগে, দুই বছর আগে, ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর স্পষ্ট দিবালোকে লগি-বৈঠা দিয়ে তান্ডব চালিয়ে আদম সন্তানদেরকে নির্মমভাবে হত্যা করে, তাদের লাশের ওপর দাঁড়িয়ে নাচানাচি ও ফালাফালি করেছিল। তখন তারা জাতিকে জানিয়ে দিয়েছিল আমরা ক্ষমতায় আসলে খুনের রাজনীতি করবো।
তিনি বলেন, আমরা সেদিন আমাদের বুকের কান্না বাংলাদেশের জনগণের কাছে হয়ত বা পৌঁছাতে পারিনি। বহু কায়দা করে, পয়েন্ট মুখপেক একটি জঘন্য সরকারের হাত ধরে পিছনের দরজায় বোঝাপড়া করে নির্বাচনী ইঞ্জিনিয়ারিং করে তারা ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর যে নির্বাচন হয়েছিল। সেই নির্বাচনে তারা জয়লাভ করেছিল। ২০০৯ সালের ১০ জানুয়ারি থেকে ক্ষমতায় বসে, সেই খুনের নেশা বাস্তবায়নের কর্মসূচি তারা হাতে নেয়।
তিনি আরও বলেন, সর্বপ্রথম তারা খুন করে আমাদের ৫৭ জন কমিটেড দেশপ্রেমিক চৌকষ সেনা অফিসারকে, বিডিআর সদর দপ্তর পিলখানায়। ২৫ এবং ২৬শে ফেব্রুয়ারি। ক্ষমতায় আসলো ১০ জানুয়ারি, দুইটা মাস ও যেতে না যেতে।খুনের রাজত্ব তারা কায়েম করা শুরু করে দিল। সেনাবাহিনীর মনোবল ভেঙ্গে দিন। বিডিআরকে ধ্বংস করে। সেই বাহিনীর সাড়ে ১৭ হাজার সদস্যকে চাকুরিচ্যুত করলো। সাড়ে ৮ হাজারকে সদস্যকে জেলে নিল। জেলের ভেতরে এ পর্যন্ত সাড়ে ৩’শর অধিক মারাই গেল। আমাদের গর্বের বাহিনী ধ্বংস হলো। ক্ষমতায় যাওয়ার সিঁড়ি হিসেবে তাদেরকে ব্যবহার করে চক্রান্ত করে তাদের ধ্বংস করে দিল। আমাদের গর্বিত এ বাহিনীর নাম বদলে বিজিবি রাখা হয়েছে। আগে ছিল আমাদের নামের সাথে বাংলাদেশের মিল, বাংলাদেশ রাইফেলস। আর এখন নাম দিয়েছে বর্ডারের চৌকিদার। লোগো বদলিয়েছে, ড্রেস বদলিয়েছে, নাম বদলিয়ে ফেলেছে। কারা এগুলা করলো, কারা হত্যাকারী ছিল, জাতিকে জানতে দেওয়া হলো না। লুকোচুরি করা হলো। রাতের অন্ধকারে বিদ্যুতের আলো নিভিয়ে দিয়ে, অন্ধকার করে খুনিদের পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ সুবিধা করে দেওয়া হলো। একটা বিশেষ দেশের প্লেন কেন এসেছিল ঢাকায়? এরপর হঠাৎ করে উধাও হয়ে গেল কীভাবে? তার জবাব স্বৈরাচারী সরকারা না দিলেও একদিন তাদেরকে দিতে হবে। আমরা সেই হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই।
ডা. শফিকুর রহমান, বলেন, এরপর শুরু হলো তাদের তাণ্ডব। তাদের প্রথম লক্ষ্যবস্তু করলো জামায়াতে ইসলামীকে, যারা পরীক্ষিত দেশপ্রেমিক। যারা তাদের সততায় দেশবাসীকে মুগ্ধ করেছিল। দক্ষতার স্বাক্ষর রেখেছিলেন। দায়িত্বের পরতে পরতে সেই সমস্ত নেতাদের ঠান্ডা মাথায়, মিথ্যা অভিযোগ এনে, সাজানো কোর্ট, পাতানো সাক্ষী দিয়ে এবং ব্রাসেলস থেকে রায় এনে সেই সমস্ত নেতাদেরকে খুন করা হলো, ফাঁসি দেওয়া হলো, কাউকে কাউকে তিলে তিলে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়া হলো। তারা জেলের ভিতর ইন্তেকাল করলেন। আল্লাহ তাআ’লা তাদের সকলকে মর্যাদাবান শহীদি হিসেবে কবুল করুন।
তিনি বলেন, আমরা তখন আমাদের সমস্ত বন্ধু রাজনৈতিক সংগঠনকে বলেছিলাম, এটি জামায়াতের ওপর আঘাত নয়। এটি বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের ওপর আঘাত। স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের এই বিশাল দেওয়াল ভেঙ্গে দিলে বাকিরা সবাই ভেসে যাবেন, কেউ টিকতে পারবেন না। আমাদের পাশে দাঁড়ান। ফ্যাসিজমকে সম্মিলিতভাবে আমরা মোকাবিলা করি। আফসোস আমরা কথাগুলো বোঝাইতে পারিনাই। সবাই মিলে একসঙ্গে সেই যুদ্ধটা করতে পারলাম না। তার পরের ইতিহাস আপনাদের সামনে পরিষ্কার। তারা আর কাউকে ছাড়লো না। এক এক করে সবাইকে ধরলো। বিএনপিকে ধরলো, হেফাজতকে ধরলো, আলেম ওলামাকে ধরলো, অন্যান্য দলকে ধরলো। কাউকে তারা ছাড় দিল না। এমনকি এই যে, সাংবাদিক বন্ধুরা আজকে এসেছেন নিউজ কাভার করতে, তাদেরকেও ধরলো। তাদেরকে খুন করলো, তাদেরকে আমাদের সঙ্গে গুম করলো। তাদের আয়না ঘরে পাঠালো, কাউকে কাউকে ভারতের ওপারে বর্ডারে নিয়ে ফেলে দিল। এভাবে তারা সারাটা দেশকে নরকে পরিণত করেছিল।
এসময় তিনি বলেন, সাড়ে ১৫ বছর দফায় দফায় অনেক আন্দোলন সংগ্রাম আমরা করেছি। কিন্তু সেই আন্দোলনের পরিসমাপ্তি আমরা ঘটাতে পারিনি। স্বৈরাচারকে আমরা তাড়াতে পারিনি, ওদেরকে বিদায় করতে পারিনি। আমি গর্বিত আমাদের সন্তানেরা সেই কাজটি করেছে। আমি আমাদের সন্তানদেরকে ভালোবাসা উপহার দিচ্ছি, শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করছি, কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। জাতির পক্ষ থেকে তাদেরকে স্যালুট জানাচ্ছি। আল্লাহ তাআলার সাহায্যে একটা অসাধ্যকে তারা সাধন করেছে। এরকম সন্তান পেয়ে জাতি গর্বিত। ইনশাআল্লাহ আগামীর বাংলাদেশ আমরা তাদের হাতেই তুলে দেব ইনশাআল্লাহ।
প্রিয় মৌলভীবাজার বাসীর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ব্যাংক- বীমা- সেক্টর- কর্পোরেশণ- সবকিছু লুটেপুটে শেষ করে দিয়ে, এই দেশের মানুষের কষ্টের অর্জিত বঞ্চিত আমানত সবকিছু গিলে ফেলে, তারা নিজেরা পালানোর আগে সবকিছু বিদেশে পাচার করেছে।
সবাইকে তিনি প্রশ্ন করেন, পালায় কারা। গুরুত্বপূর্ণ সন্ত্রাসী ও অপরাধীরা। যে দেশকে ভালোবাসে জনগণকে ভালোবাসে সে কখনো পালায় না। হা গাল বড়া বুড়ি দিয়েছিলেন, সেই চোর ডাকাতের লিডার। আমি অমুকের মেয়ে আমি পালাবো না। এইযে সব যুবকরা বলিতেছে আমাদের ভোট সে চুরি করেছিল। তিনটা নির্বাচন আজ যাদের বয়স ৩০ থেকে ৩২ বছর হয়েছে তারা একটা ভোটও দিতে পারেনি। তাদের সমস্ত ভোটকে জেনুসাইড করেছিল, গণহত্যা করেছিল। ভোটের গণহত্যা। এদের নৈতিক সাহস ছিল না দেশে থাকার। এ জন্য দেশ থেকে পালিয়ে গেছে। আর পালাতে গিয়ে কারও কারও অবস্থা এমন হয়েছিল যে, রসিক সিলেটবাসী তাদের কলাপাতায় শুয়ে দিয়েছিল। আপনারা রসিক না বেরসিক বুজতে পড়েনি। তাকে জিজ্ঞেস করেছে আপনি কেগো। বলে আমি শামসুদ্দিন চৌধুরী। কয় স্যার আপনি কি কালো মানিক। জিজি আমি কালো মানিক। আপনি কোথায় আছেন। সম্ভবত ভারতে আছি। কয় নাগো যাদু, আপনি যেতে পারেন নাই আটকা পড়ে গেছে। কি দুর্ভাগ্য সুপ্রিম কোর্টের একজন বিচারপতি। তিনি এতটাই দলবাস ছিলেন, বিচারকের চেয়ারে বসে রাজনীতির হুংকারী দিতেন। আল্লাহ তাআ’লা ন্যায় বিচারক। আসল বিচার তো হবে হাশরের দিন। কিন্তু দুনিয়াও আল্লাহ তাআ’লা কিছু করেন। নাইলে দুনিয়ার ভারসাম্য রক্ষা হয়না। তাই সামান্য একটু আমরা দেখেছি মাত্র। আসল টা আল্লাহ তাআ’লা জিম্মায় রয়ে গেছে। এই সমস্ত খুনি সন্ত্রাসী সকল অপরাধী। এরা রাজনীতিবিদ নয়, এরা দুর্বৃত্ত। এই দুর্ভিদের বিচার বাংলার মাটিতে করতে হবে। প্রত্যেকটা অন্যায় অপরাধের বিচার করতে হবে। প্রিয় ভাইয়েরা, জাতিকে এরা ৫৩ বছর কায়দা কৌশলে ফ্যাসিজমের মাধ্যমে বিভিন্নভাবে দ্বিধাবিভক্ত করে রেখেছে। স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি, বিপক্ষের শক্তি, মেজরিটি শক্তি, মাইনরেটি শক্তি, কতভাবে যে এরা ভাগ করেছে এ জাতিকে। কারণ একটা জাতিকে যখন টুকরা টুকরা করা যায়। তখন তাদেরকে গোলাম বানানো সহজ হয়। এরা ধরে নিয়েছিল তারা দেশের মালিক। আর আমরা সবাই ভাড়াটিয়া। হা মালিকরাই দেশে আছে, ভাড়াটিয়া রাই পালিয়ে গেছে। তিনি বলেন, আমরা ৫ তারিখের এই বিশাল নেয়ামত আল্লাহর পক্ষ থেকে আল্লাহ উপহার এই জাতিকে। সাথে সাথে জাতিকে ও আমাদের সহকর্মীকে আহবান জানিয়েছিল। আমরা দেশকে ভালবাসি এদেশের মানুষকে ভালোবাসি। অতএব আমাদেরকে দায়িত্বশীলের পরিচয়।
তিনি ভারতের উদ্দেশ্যে বলেন, প্রতিদেশী দেশকে বলতে চাই- আপনারা শান্তিতে থাকেন। আমাদেরকেও শান্তিতে থাকতে দেন। আপনাদের পাক ঘরে কী পাকাবেন আমরা জিজ্ঞেস করি না। আমাদের পাক ঘরে উঁকি মারার চেষ্টা করবেন না। নিজেরা আয়নায় চেহারা দেখুন। আমাদের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির সবক দিতে হবে না।
জামায়াতে ইসলামীর আমির উল্লেখ করেন, যেখানে আমাদের শীর্ষ ১১ নেতাকে খুন করা হয়েছে, সবগুলো অফিস তালাবদ্ধ করে রাখা হয়েছে, আমাদের বাড়িঘর বুলডোজার দিয়ে গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, যেখানে নিবন্ধন কেড়ে নেওয়া হয়েছে, বেদিশা হয়ে শেষ পর্যন্ত নিষিদ্ধ পর্যন্ত করা হয়েছে। এত যন্ত্রণা বুকে নিয়ে বলেছি- আমরা দেশকে ভালোবাসি, মানুষকে ভালোবাসি।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, চাইলে আমরা কিছু কিছু চাঁদাবাজি করতে পারতাম। কিছু দখল নিতে পারতাম। কিন্তু এটা আমাদের জন্য হারাম মনে করি। প্রিয় বাংলাদেশ গড়তে জামায়াতে ইসলামীর কর্মীদের আরও ধৈর্যের পরিচয় দিতে হবে। দিতে পারবেন ধৈর্যের পরিচয়? এসময় সবাই হাত তুলে সায় দেন।
জামায়াতের আমির বলেন, আমরা একটা সাম্যের বাংলাদেশ গড়ে তুলবো। বৈষম্যকে নির্বাসনে পাঠাবো। আমরা মেধার স্বীকৃতি প্রদান করবো, পলিটক্রেসি নয়। মেরিটক্রেসির ভিত্তিতে জাতি গঠন করবো। যুবকদেরকে শিক্ষা দিয়ে বেকারের হাত বাড়াবো না, যুবকদের হাতকে কর্মীর হাতে পরিণত করবো।
তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, মৌলভীবাজার জেলায় কোনো ভালো বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজ, ইঞ্জিনিয়ারিং এবং অ্যাগ্রিকালচার বিশ্ববিদ্যালয় নেই। কেন? মৌলভীবাজার কী অপরাধ করেছে? সাবেক অর্থমন্ত্রী এম সাইফুর রহমানের প্রতি ইঙ্গিত দিয়ে বলেন, এই জেলার কৃতি সন্তান একজন কৃতি অর্থনীতিবিদ ছিলেন। তিনি সারাদেশকে সমান চোখে দেখতেন। আগামীবার একনেকে যেন মৌলভীবাজারে কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বরাদ্দ দিয়ে অন্য কোনো উন্নয়নের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় সেই দাবি জানান।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ মৌলভীবাজারে সবচেয়ে বেশি চা বাগান। রাষ্ট্রীয় যথাযথ পর্যবেক্ষণ না থাকায় চা শিল্প ধ্বংস হওয়ার পথে। মালিক পক্ষ চায়ের যথাযথ মূল্য পান না। শ্রমিকরাও পারিশ্রমিক পান না।
তিনি নেতাকর্মীদের চারটি বিষয় তুলে ধরেন- এর মধ্যে নিয়ত সহিহ করে জ্ঞানের রাজ্যে এগিয়ে গিয়ে সাহসী হয়ে কঠোর পরিশ্রম করার আহ্বান জানান। সব শেষে তিনি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান।
উক্ত সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- হবিগঞ্জ জেলা আমির কাজী মাওলানা মুখলিছুর রহমান, মৌলভীবাজার জেলার সাবেক আমির ও কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরার সদস্য দেওয়ান সিরাজুল ইসলাম মতলিব ও মোঃ আবদুল মান্নান, মৌলভীবাজার জেলা বিএনপি’র আহবায়ক ফয়জুল কবির ময়ুন, খেলাফত মজলিস নেতা অধ্যাপক মাওলানা আবদুস সবুর, মৌলভীবাজার জেলা নায়েবে আমির মাওলানা আব্দুর রহমান, ছাত্রশিবির সিলেট মহানগর সভাপতি শরিফ মাহমুদ, পল্টন থানা জামায়তের আমির শাহীন আহমদ খান, জেলা কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা আমিনুল ইসলাম, ছাত্রশিবিরের মৌলভীবাজার জেলা সভাপতি হাফেজ আলম হোসাইন, জেলা শহর শাখার সভাপতি তারেক আজিজ, বড়লেখা উপজেলার সাবেক আমির মোঃ কমর উদ্দিন, মৌলভীবাজার পৌর আমির হাফেজ মাওলানা তাজুল ইসলাম, সদর উপজেলা আমির মো; ফখরুল ইসলাম, বড়লেখা উপজেলার আমির মোঃ এমদাদুল ইসলাম, রাজনগর উপজেলার আমির আবুর রাইয়ান শাহীন, কুলাউড়া উপজেলার আমির অধ্যাপক আব্দুল মুনতাজিম, জুড়ী উপজেলার আমির আব্দুল হাই হেলাল, শ্রীমঙ্গল উপজেলার আমির মাওলানা ইসমাঈল হোসেন ও কমলগঞ্জ উপজেলা আমির মোঃ মাসুক মিয়া। সমাবেশ শেষে জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান মৌলভীবাজার জেলার বিশিষ্টজন, সুধী ও পেশাজীবীসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।