“সামাজিক কল্যান সাধনে, এসো মোরা এক হই প্লাজমার বাঁধনে ” এই মূলমন্ত্রের মধ্যে দিয়ে প্লাজমা ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও চেয়ারম্যান মোঃ জায়িদুল ইসলাম, ভাইস চেয়ারম্যান কাউসার আহমেদ সাগর, মোঃ হযরত আলী ও মোহাম্মদ মান্নাফ শাহ মিলে ১৫ নভেম্বর, ২০১৬ সালে স্বনামধন্য এই প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠা করেন।প্রতিষ্ঠার শুরু থেকেই এলাকার সামাজিক উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে প্লাজমা ফাউন্ডেশন।
মো.মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে এক আলোচনা ও সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন জনাব মোঃ সামাউন কবির মানিক, সাবেক সভাপতি ও বর্তমান স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক প্লাজমা ফাউন্ডেশন।
বিগত বছরগুলোর ন্যায় এবারও প্লাজমা ফাউন্ডেশনের র্যালি, আলোচনা সভা ও সম্মাননা স্মারক প্রদানের মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত হচ্ছে।
আলোচনা অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রতিষ্ঠানের ভাইস চেয়ারম্যান কাউসার আহমেদ সাগর। স্বাগত বক্তব্যে তিনি বলেন, ১৫ নভেম্বর, ২০১৬ প্রতিষ্ঠার পর থেকে এ পর্যন্ত প্লাজমা ফাউন্ডেশন নানাবিধ কার্যক্রম পরিচালনা করেছে। তিনি উল্লেখ করেন, রেগুলার রক্তদান তাদের নিয়মিত কাজ।প্লাজমার বিভিন্ন সময়ে সম্পাদিত কার্যক্রম এর মধ্যে উল্যেখযোগ্য হলো, কোভিড-১৯ এর প্রথম লকডাউনে গোদাগাড়ী উপজেলার ৪৫০ এর অধিক পরিবারের মাঝে খাদ্য বিতরণ, উপজেলা ব্যাপী জীবাণুনাশক স্প্রে ও সচেতনতা কর্মসূচী, দ্বিতীয় লকডাউনে বিনামূল্যে গোদাগাড়ী, রাজশাহী ও চাপাই নবাবগঞ্জ জেলায় কোভিড আক্রান্ত ও শ্বাসকষ্টের ২৫০ এর অধিক রোগীর মাঝে অক্সিজেন সহায়াতা প্রদান। শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষাক্ষেত্রে সহায়তা প্রদান, ১৫ এর অধিক ফ্রি ব্লাড গ্রুপ নির্ণয় ও মেডিক্যাল ক্যাম্প কর্মসূচি, নদীভাঙ্গন ও বন্যার্তদের মাঝে সহায়তা প্রদানসহ দেশব্যাপী অনলাইন রচনা ও কুইজ প্রতিযোগিতা আয়োজন ও পরিচালনা করে। গত আগস্ট, ২০২৪ এর আন্দোলনের ধ্বংসাবশেষ পরিষ্কার, গোদাগাড়ী থানা ও উপজেলা পরিষদ পরিষ্কার, অসুস্থ ব্যাক্তিদের মাঝে নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান, আন্দোলনে আহত শিক্ষার্থীদের মাঝে সহায়তা প্রদান, দুঃস্থ মহিলাদের মাঝে ২০ টি ছাগল, ১০ টি সেলাই মেশিন, হুইল চেয়ার, ২০ বান্ডিল টিন ও ২ টি রিক্সা ও নগদ অর্থ প্রদান করা হয়। এছাড়াও লক্ষীপুর জেলার বন্যাপ্লাবিত অঞ্চলের ১২ টি গ্রামে ৮৫০ এর অধিক পরিবারের মাঝে খাদ্য বিতরণ এবং ৫০০০ এর অধিক মানুষকে বিনামূল্যে চিকিৎসা ও ওষুধ এবং পোশাক প্রদান করে প্লাজমা ফাউন্ডেশন। তিনি আরও বলেন খুব শীঘ্রই প্লাজমা ফাউন্ডেশন তার স্থানীয় গন্ডি পেরিয়ে দেশের বেশ কয়েকটি বিশ্বব্বিদ্যালয়ে ও কলেজ সহ দেশের বেশ কয়েকটি জেলায় প্রতিষ্ঠানের ব্যাপ্তি প্রসারিত হচ্ছে।
প্রধান অতিথি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আবুল হায়াত, একটি বিশেষ কাজে ব্যাস্ত থাকায় তিনি অনুষ্ঠানে অনুপস্থিত ছিলেন। তবে তিনি এক অডিও বার্তায় উপস্থিত উপস্থিত সকলকে ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেন। তিনি প্লাজমা ফাউন্ডেশন এর বিভিন্ন কর্মকান্ডের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং সর্বাবস্থায় প্লাজমা ফাউন্ডেশন এর সাথে থাকার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
প্রতিষ্ঠানটির ডিজিটাল কার্যক্রম নিয়ে বক্তব্য রাখেন, প্লাজমা ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মোঃ জাহিদুল ইসলাম, ডিজিটাল উদ্ভাবন নিয়ে আলোচনা করেন, ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য মোঃ হযরত আলী।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, বিশিষ্ট সমাজ সেবক অনিন্দ্য কুমার ভকত, প্রেমতুলি উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোঃ মেসবাহুল হক, গোদাগাড়ী সরকারি কলেজের প্রভাষক শিমুল প্রতিম মজুমদার, গোদাগাড়ী সরকারি কলেজের প্রভাষক গোলাম রাব্বানী, গোদাগাড়ী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজের সহকারী প্রধান শিক্ষক মোঃ আশফুজ্জামান, শাহ সুলতান (রহঃ) কামিল মাদ্রাসার সহযোগী অধ্যাপক মাওলানা দুরুল হোদা প্রমুখ।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্তিত ছিলেন।সেরা স্বেচ্ছাসেবী-২০২৪ হিসেবে ১০ জনকে সম্মাননা স্মারক এবং বিশেষ কৃতিত্বের জন্য গোদাগাড়ী জেনারেল হাসপাতাল ও গোদাগাড়ী মডেল হাসপাতালকে সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়।
সকলের উপস্থিতিতে অতিথিবৃন্দ প্রতিষ্ঠানটির “সংবিধানের” মোড়ক উন্মোচন করেন।সমাপনী বক্তব্যে সভাপতি উপস্থিত সকলকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন এবং প্লাজমা ফাউন্ডেশন এর দীর্ঘায়ু কামনা করেন।