লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধিঃ লক্ষ্মীপুর রায়পুর সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের ঝাড়ুদার কাম-নৈশ প্রহরী সোহেলকে কমলনগরে বদলি করার পর এবার তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। ইতিমধ্যে তার বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে, যা চাকরিবিধি অনুযায়ী পরিচালিত হবে।
২৯ অক্টোবর) লক্ষ্মীপুর জেলা রেজিস্ট্রার মো: লোকমান হোসেনের একটি আদেশপত্র লক্ষ্মীপুর জেলা রেজিস্ট্রারে ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেন।
এর আগে, (২০অক্টোবর২৪ইং) জেলা রেজিস্ট্রার কার্যালয়ের ৩৭৩(৮) নং স্বারকাদেশে কমলনগর সাব- রেজিস্ট্রি অফিসে ঝাড়ুদার কাম- নৈশ প্রহরী পদে প্রেষনের বদলী করা হয়।
রায়পুর সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে দীর্ঘদিন যাবত ব্যাপক অনিয়ম দুনীতি অভিযোগ ওঠে সোহেলের বিরুদ্ধে যা ইতির মধ্যে বিভিন্ন জাতীয় ও লোকাল পত্র-পত্রিকা প্রকাশিত সংবাদ, ও লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক এর কার্যলয়ের সূত্র ও একাধিক আলোক চিত্র ও লিখিত পত্রে অভিযোগে তদন্ত সার্থে সোহেলকে বদলি করা হয়। জেলা রেজিস্ট্রার মো: লোকমান হোসেনের সই করা এক আদশে তাকে বদলি করা হয়েছিল।
আদেশ কপিতে উল্লেখ করা হয় গত ২৯ অক্টোবর পযর্ন্ত বদলীকৃত কমলনগর উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে অভিযুক্ত সোহেল যোগদান করেনি এবং নৈশ প্রহরীর দায়িত্ব পালন করেনি,
এর আগে সোহেলের বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহন করার অপরাধে মানবজমিন প্রত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করায় দুদকের একটি টিম তদন্ত চলমান রেখেছেন।
এখানে শেষ নয় ঝাড়ুদার সোহেলকে বদলি, সাময়িক বরখাস্ত করার পরও প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে রায়পুর সাব রেজিস্ট্রি অফিসে সন্ধ্যার পর অফিসের কেচি গেট বন্ধ করে নিয়মিত অফিস করার অভিযোগ করেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক দলিল লেখক। এবং তাকে রাখার জন্য রায়পুর সাব রেজিস্ট্রার ইউনুস সোহেল দলিল লেখকদের থেক গণ স্বাক্ষর নেয়ার একটি ভিডিও স্থিরচিত্র এসেছে গণমাধ্যম প্রতিনিধিদের কাছে।
এ বিষয়ে মঙ্গলবার লক্ষ্মীপুর জেলা রেজিস্ট্রার মো: লোকমান হোসেন বলেন, ঝাড়ুদার কাম- নৈশ প্রহরী সোহেলকে কমলনগর উপজেলা সাব রেজিস্ট্রি অফিসে প্রথমে বদলি করা হয়। এর পর তাকে সামরিক বরখাস্ত করা হয়। এবং তার বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে