কানাইঘাট প্রতিনিধিঃ কানাইঘাটে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে প্রবাসী ছেলের সামনে পিতাকে কোপিয়ে নৃশংস ভাবে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল শুক্রবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার দক্ষিণ বাণীগ্রাম ইউনিয়নের ধলিবিল দক্ষিণ নয়াগাও গ্রামে। থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে হত্যাকান্ডের মূল ঘাতক এলাকার বহু অপকর্মের হুতা সুলতান আহমদ (৫০) কে গ্রেফতার করেছে। এ সময় হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ধারালো রাম দা উদ্ধার করে পুলিশ।
প্রত্যক্ষদর্শী ও নিহতের স্বজনরা জানান, জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে শুক্রবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে ধলিবিল দক্ষিণ নয়াগাঁও গ্রামের মৃত আব্দুল লতিফের পুত্র ফয়জুল হোসন (৬৮) কে আপন চাচাতো ভাই মৃত আব্দুল জলিলের পুত্র সুলতান আহমদ বসত বাড়িতে নৃশংস ভাবে ধারালো রাম দা দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপিয়ে জবাই করে ঘটনাস্থলে হত্যা করে। হত্যাকান্ডের পর ঘাতক সুলতান আহমদ সে তার চাচাতো ভাই ফয়জুল হোসনকে হত্যা করেছে বলে এলাকাবাসী ও থানা পুলিশের সামনে বিরদর্পে স্বীকার করে।
স্থানীয়রা জানান, ফয়জুল হোসেন এর সাথে সুলতান আহমদ এর বসত বাড়ির জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিল। এর জের ধরে গত কয়েকদিন থেকে ধারালো দা নিয়ে সুলতান আহমদ চাচাতো ভাই ফয়জুল হোসনকে হত্যার পরিকল্পনা করছিল। শুক্রবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে যখন ফয়জুল হোসন তার প্রবাসী ছেলে আলী রাজাকে নিয়ে নিজ বসত ঘরে ছিলেন। তখন ধারালো রাম দা নিয়ে সুলতান আহমদ অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে ফয়জুল হোসেন ও তার প্রবাসী ছেলের দিকে দা নিয়ে কোপানোর চেষ্টা করে। তখন প্রবাসী আলী রাজা প্রাণ রক্ষার্থে সরে গেলে সুলতান আহমদ রাম দা দিয়ে ফয়জুল হোসনের মাথা ও গলায় এলোপাতাড়ি কোপিয়ে জবাই করে নৃশংস ভাবে হত্যা করে। খবর পেয়ে স্থানীয় লোকজন সুলতান আহমদকে তার বসত ঘরে ঘেরাও করে রেখে থানা পুলিশকে খবর দেয়। হত্যাকান্ডের খবর পেয়ে থানা পুলিশ দ্রæত ঘটনাস্থলে গিয়ে সুলতান আহমদকে নিজ বসত ঘর থেকে গ্রেফতার করে এবং হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত রক্তমাখা রাম দা জব্দ করে।
এ ঘটনায় নিহতের ছেলে কাতার প্রবাসী আলী রাজা বাদী হয়ে থানায় সুলতান আহমদ সহ ৩ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল আউয়াল জানিয়েছেন, জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে সুলতান আহমদ তার চাচাতো ভাই ফয়জুল হোসনকে কোপিয়ে হত্যা করেছে এবং সে নিজেও হত্যাকান্ডের কথা স্বীকার করেছে। এ ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হচ্ছে।
স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন, আপন চাচাতো ভাই ফয়জুল হোসেনের হত্যাকারী সুলতান আহমদ এলাকার বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ডের সাথে সম্পৃক্ত ছিল। সে সব-সময় এলাকায় দা নিয়ে বেপরোয়াভাবে চলাফেরা করত। তার ভয়ে আপন ভাই ও চাচাতো অপর ভাইয়েরা ভয়ে বাড়ি ছেড়ে সিলেট শহরে বসবাস করছে বলে জানান।