আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
ভারতের উত্তরাখণ্ডে যাত্রীবাহী বাস গভীর খাদে পড়ে ৩৬ জন নিহত হয়েছেন। মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে এবং রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত নিখোঁজ রয়েছে ৫ জন।
সোমবার (৪ নভেম্বর) আলমোড়া জেলার মারচুলা এলাকায় মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে।ভারতের সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া এ তথ্য নির্শ্চিত করেছে।
দুর্ঘটনায় পড়া বাসটি ৫০ জন যাত্রী নিয়ে পাউরি গাড়োয়াল জেলার নৈনি ধান্দা থেকে নৈতিতাল জেলার রামনগরে উদ্যেশ্যে যাচ্ছিল।আলমোড়া মারচুলা এলাকায় পৌছালে বাসটি রাস্তা থেকে ছিটকে প্রায় ২’শ মিটার গভীর খাদে পড়ে যায়।
বাসটিতে কমপক্ষে ৫০ জন যাত্রী ছিলেন। খাদে গড়িয়ে পড়ার পর বাসটি নদীর ধারে এসে পড়ে। বাসটি পুরোপুরি দুমড়ে মুচড়ে গেছে। শেষ পর্যন্ত ৩৬ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আহতদের উদ্ধার করে দ্রুত স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হচ্ছে। এখনও চলছে উদ্ধারকাজ। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
আলমোড়ার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা বিনীত পাল জানিয়েছে, কমপক্ষে ৩৬ জনের মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়েছে। আরও কয়েকজন আহতকে চিকিৎসার জন্য কাছাকাছি হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। স্থানীয় গ্রামবাসীরা এখনো ধ্বংসস্তূপে আটকে পড়া যাত্রীদের খুঁজে বের করতে উদ্ধার কর্মীদের সহায়তা করছে।
উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুস্কর সিং ধামি বলেছেন, সরকারি কর্মকর্তাদের উদ্ধার ও ত্রাণের কাজে আরও গতি আনতে বলা হয়েছে। তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্টে একে অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক দুর্ঘটনা হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
তিনি বলেছেন, আলমোরা জেলার মারচুলার কাছে এই দুর্ঘটনায় প্রাণহানি হয়েছে। জেলা প্রশাসনকের পক্ষ থেকে ঘটনা স্থলে দ্রুত ত্রাণ সামগ্রী সহ নিখোঁজ ব্যক্তিরা উদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত উদ্ধার অভিযান চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ধামি জানান, স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তা ও রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতদের পাশের স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পাঠাচ্ছেন এবং গুরুতর আহতদের প্রয়োজনে হেলিকপ্টারে নিয়ে আসা হবে।
এ ঘটনায় স্থানীয় আরটিও কর্মকর্তাদের সাসপেন্ড করা হয়েছে বলে মুখ্যমন্ত্রীর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে। নিহতদের পরিবারকে চার লাখ টাকা ও আহতদের এক লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া কথা জানান তিনি।
এ ঘটনার রহস্য জানতে ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।