সোহেল হোসেন,লক্ষীপুর প্রতিনিধিঃ লক্ষ্মীপুরে মোজাম্মেলের ভোগদখলকৃত জমিতে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ করে রাতের অন্ধকারে দা,চেনী নিয়ে জমির দখল করে চলাচলের রাস্তার নিমার্ণের অভিযোগ ওঠেছে নুর হোসেন খোকনের বিরুদ্ধে। এর আগে ২০২২ইং সালে মোজাম্মেল হোসেনের বড় ছেলে কামরুল হাসান সজিবকে মারধোর করে মিথ্যা মামলা দিয়ে কারাগারে প্রেরণ করেন অভিযুক্ত নুর হোসেন।
মোজাম্মেলের স্ত্রী সেলিনা আক্তার জানিয়েছেন, রাস্তা জমি নিয়ে নুর হোসেন গংরা আদালতে মিছ মামলা করলে তা খারিজ করে দেয় এডিএম কোট।
গত রবিবার দিবাগত রাত ২৭ অক্টোবর নুর হোসেন খোকনের নেতৃত্ব ৫-৬ জনের একটি দল মিলে ২৯০ দাগে জোর পূর্বক সোয়া এক শতাংশ জমিতে নতুন রাস্তা নিমাণ করেন খোকন গংরা।
এঘটনা ঘটে বশিকপুর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের ২৯০ দাগের সোয়া এক শতাংশ জমিন দখল করে রাস্তা নিমাণ করেন নুর হোসেন।
তপসিলকৃত ভূমি প্রায় ৫৪ বছর যাবত ভোগ দখল করে আসছেন আবুল হোসেন গংরা। নুর হোসেনের কাছে রাস্তা জন্য কোন জমি বিক্রি করা হয়নি। তারাও ক্রয় করেনি। বেদখল জমি নিয়ে জেলা প্রশাসকের বিরুদ্ধে মামলা চলমান রয়েছে যাহার মামলা নং স্বত্ব ঘোষণা মামলা চলমান রয়েছে যাহার মামলা নং ৪৮৯/২১।
এদিকে নুর হোসেনের নেতৃত্বে নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প নিয়ে মোজাম্মেল হোসেন ও তার বড় ছেলে কামরুল হাসান সজিবকে খোঁজাখুজি করছেন জোরপূর্বক স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেওয়ার জন্য। জমির মালিক মোজাম্মেল হোসেনের পরিবার নূর হোসেনের বাহিনীর ও দলবলের ভয়ে আতঙ্ক বিরাজ করছেন এবং তারা চরম নিরাপত্তাহীনতা ভুগতেছেন যে কোন মুহূর্তে রক্ত ক্ষয়ী সংঘর্ষ ঘটনা করতে পারে এমন দাবি এ রাস্তা জমি নিয়ে দুই পক্ষ আদালতে মামলা চলমান রয়েছে।
নূর হোসেন খোকন জানান বাদী পক্ষের অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।মানুষের চলাচলের জন্য রাস্তা নির্মাণ করা হচ্ছে।অভিযোকারীর সাথে পরামর্শ করে রাস্তার কাজ শুরু করা হয়। হিংসা ও মানঅভিমান করে এখন রাস্তা দিতে অস্বীকার করছেন। জায়গা ব্যক্তিগত ভাবে ভোগ করার জন্য নেয়নি।জনসাধারন চলাচলের জন্য রাস্তা নির্মান করা হচ্ছে।
চন্দ্রগঞ্জ থানার (ওসি) কায়সার হামেদ চৌধুরী জানিয়েছেন জমি দখলের বিষয়ে খবর পেয়ে ঘটনার স্থানে পুলিশ প্রেরন করেন নিমাণ কাজ বন্ধ রেখেছেন। পুলিশের আদেশ অমান্য করে তারা রাতের অন্ধকারে নির্মাণ কাজ শেষ করে।তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।