গভীর উৎসাহ ও উদ্দীপনা নিয়ে,ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের সাথে উদযাপিত হলো খ্রিষ্টান ধর্মাম্বলীদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব জপমালা রাণী মা মারীয়া তীর্থোৎসব।
এবছর জপমালা রানী মা মারীয়া তীর্থের মূলভাব হলো “বিশ্বাসের তীর্থযাত্রায় শান্তি রানী মা মারীয়া “এই মুলসুরকে সামনে রেখে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলা অধীনে হরিণছড়া চা বাগান তীর্থ স্থানে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের সাথে শনিবার ও রবিবার দু’দিন ব্যাপী উদযাপন হলো জপমালারানী মা মারীয়া তীর্থোৎসব।
রবিবার (২৭ অক্টোবর) সকাল ১১টায় ছিলো এই তীর্থের মূলপর্ব। ফাদার রবার্ট নকরেক সিএসসি’র পরিচালনায় একঝাক নৃত্যশিল্পী পরিবেশন করেন ধর্মীয় গান ও নৃত্য, এরই মধ্যদিয়ে অনুষ্ঠিত হয় তীর্থের মহা খ্রিস্টযাগ।এই মহা খ্রিষ্টযাগ উৎসর্গ করেন সিলেট খ্রিষ্টান কাথলিক ধর্মপ্রদেশর বিশপ শরৎ ফ্রান্সিস গমেজ এবং খ্রিষ্টযাগে উপস্থিত থেকে সহযোগীতা করেন শ্রীমঙ্গল কাথলিক মিশনের পালপুরোহিত ড.ফাদার জেমস শ্যামল গমেজ সিএসসি,হলিক্রশ সম্প্রদায়ের প্রভিন্সিয়াল ফাদার জজ কমল রোজারিওসিএসট,সিলেট ধর্মপ্রদেশের সচিব ফাদার সরোজ ওএমআই, ফাদার মৃণাল ম্রং সিএসসি ,বড়লেখা ডিমাই মিশনের ফাদার পাউলুস মুর্মু ওএমআই,
কুলাউড়া লক্ষিপুর মিশনের ফাদার পিয়ুস প:ডুয়েং ওএমআই, হবিগঞ্জ শায়েস্তাগঞ্জ সাব-মিশনের পরিচালক ফাদার কল্লোল,গিয়াসনগর মাইনর সেমিনারী পরিচালক ফাদার ফ্রান্সিসকো,গোয়াইঘাট জাফলং মিশনের ফাদার বিপ্লব কুজুর’সহ আরও উপস্থিত ছিলেন দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে মিশনের ফাদার,ব্রাদার,সিস্টারসহ ৫’হাজার অধিক ধর্মীয় বিশ্বাসী খ্রিস্টভক্ত। এই তীর্থোৎসবে তীর্থযাত্রী খ্রিষ্টভক্তরা জপমালা রানী মা-মারীয়া কাছে দেশ ও বিশ্বের শান্তি কামনা করে বিশেষ প্রার্থনা করেন।
খ্রিস্টযাগে বিশপ বলেন, মারীয়া শুধু প্রভু যীশুর মা নয়,সে হলো আমাদেরও মা।ক্রুশের চিহ্ন মাধ্যমে আমরা খ্রিষ্টের নামে দীক্ষা নিয়েছি। এই বিশ্বাস শুধু মুখে নয় অন্তরেও ধারণ করতে হবে।মারীয়া হলো শান্তি রানী, তার মধ্যদিয়ে প্রার্থনা করলে পরিবারে, সমাজে শান্তি আসে। ঈশ্বর কুমারী মারীয়াকে বেছে নিয়েছে তার পুত্রের জননী হওয়া জন্যে, মা মারীয়া হলো উদ্বারকর্তা যিশু খ্রিষ্টের মা।জপমালা প্রার্থনা আমাদেরকে আধ্যাত্মিক ভাবে অনেক শক্তি ও সাহস দিয়ে থাকেন। মা মারীয়াকে প্রেরিতগনের রানী বলা হয় কারণ মহান ঈশ্বর তাকে প্রভু যীশু খ্রিষ্টের মা হওয়ার জন্য বেছে নিয়েছেন এবং ঈশ্বর আদেশে কুমারী অবস্থায় গর্ভধারণ করে জন্মদান করেন মুক্তিদাতা যীশু খ্রিষ্টকে।মা মারীয়া প্রতি ভক্তি প্রদর্শন করার জন্যে প্রতি বছর অক্টোবর মাস জপমালা রানী মা মারীয়া মাস হিসাবে ঘোষণা করেছেন। এই মাসে ক্যাথলিক খ্রিস্টভক্তারা সারা মাসব্যাপী জপমালা প্রার্থনা মাধ্যমে পারিবারিক প্রার্থনা করে থাকেন।
তীর্থ উদযাপন কমিটির আহবায়ক ড.ফাদার জেমস শ্যামল গমেজ সিএসসি বলেন এবছর আমরা ৩৫তম জপমালা মা মারীয়া তীর্থ পালন করছি। পাহাড়ি টিলা’য় অবস্থিত জপমালারানী মা মারীয়া তীর্থ স্থানে, খ্রিষ্টভক্তরা ব্যক্তিগত মানত, উদ্দেশ্য প্রার্থনা,পর্বের পর্বকর্তা,অনুতাপ প্রার্থনা,আরাধনা সংস্কার,কালভারীতে ক্রুশের পথসহ এক মাস ব্যাপী জপমালা প্রার্থনা ও নভেনা প্রার্থনা করেছে বিশ্বাসী ভক্তরা এবং নানান প্রতিকূলতা মাঝেও মা মারীয়া কাছে ভক্তি প্রদর্শন ও আশীর্বাদ পাবার জন্য এ তীর্থ স্থানে অনেক ভক্ত উপস্থিত হয়েছেন।সকলের উদ্বার সহযোগীতায় কারণে জপমালা মা মারীয়া তীর্থ করতে পেরেছি,তাই সকলকে ধন্যবাদ।