সোহেল হোসেন,লক্ষীপুর প্রতিনিধি।
ইলিশ সম্পদ’র উৎপাদন বৃদ্ধি এবং মা ইলিশের বাধাঁহীন প্রজননের জন্য ১৩ অক্টোবর থেকে শুরু হচ্ছে মৎস্য শিকারে ২২দিনের নিষেধাজ্ঞা। এ সময় দেশব্যাপী ইলিশ পরিবহণ, ক্রয়-বিক্রয়, মজুদ ও বিনিময়ও নিষিদ্ধ থাকবে। বিগত কয়েক বছর ধরে মৎস্য বিভাগের সময়পোযোগী এমন সিদ্বান্তে বাড়ছে ইলিশের উৎপাদন। তবে এ সময়ে প্রকৃত ইলিশ জেলেদের জন্য প্রদেয় প্রনোদনা বাড়ানোর দাবী
লক্ষ্মীপুর সহ উপকুলীয় জেলেদের।উপজেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা যায়, ১৩ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ২২ দিনের অবরোধ চলবে ৩ নভেম্বর ২০২৪ইং পর্যন্ত। শনিবার ( ১২ অক্টোবর) দিবাগত রাত ১২.০১ মিনিট থেকে শুরু হচ্ছে এর কার্যকারিতা। এসময়ে সারা দেশে ইলিশ মাছ আহরন, পরিবহন, মজুদ, বাজারজাত করনসহ ক্রয়- বিক্রয় নিষিদ্ধ এবং একইসাথে মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান বাস্তবায়ন করা হবে। আইন অমান্যকারীকে এক থেকে সর্বোচ্চ ২ বছরের জেল অথবা সর্বোচ্চ পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অথবা উভয় দন্ড হতে পারে। ইলিশসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছের উৎপাদন বৃদ্বিতে মৎস্য বিভাগের এমন সিদ্বান্তে খুশী জেলেরা। ২২ দিনের এমন কর্মহীন সময়ে জেলেদের জন্য দেয়া হচ্ছে প্রনোদনা। তবে প্রদেয় এ প্রনোদনা বাড়ানোসহ নির্ধারিত সময়েই তা প্রকৃত ইলিশ শিকারীদের মাঝে বিতরনের দাবী জেলেদের।
সভাপতিত্ব করেন প্যানেল চেয়ারম্যান নয়ন বেগম চর রমণী মোহন ইউনিয়ন পরিষদ,এই সময় প্রধান অতিথি, জসীমউদ্দীন সিনিয়র পরিচালক জেলা মৎস্য অধিদপ্তর লক্ষ্মীপুর।
বিশেষ অতিথি নৌ পুলিশ শহিদুল ইসলাম,স্বপন ইউপি সদস্য ৫ নং ওয়ার্ড,জেলে প্রতিনিধি ইদ্রিস আলী,
হানিফ সমাজসেবা সদর লক্ষ্মীপুর
লক্ষ্মীপুর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা জসীম উদ্দীন জানান, বিগত কয়েক বছরে ইলিশ প্রজনন মৌসুমে মৎস্য শিকারের নিষেধাজ্ঞার ধারাবাহিকতায় সাগরে বেড়েছে ইলিশসহ নানা প্রজাতির মাছ। অবরোধ সফল করতে জেলেদের নিয়ে উঠান বৈঠকসহ চলছে ধারাবাহিক গনসংযোগ। সমুদ্রসহ স্থলভাগে সক্রিয় রয়েছে প্রশাসন ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থা