ঠাকুরগাঁও-২ আসনের (বালিয়াডাংগী, হরিপুর, রাণীশংকৈল) সাতবারের সাবেক সংসদ সদস্য দবিরুল ইসলামকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সাবেক সংসদ সদস্য দবিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে ঠাকুরগাঁওয়ে চাঁদাবাজি, জমি দখল ও হত্যার দুটি মামলা রয়েছে। এই দুটি মামলার প্রধান আসামি তিনি।
বুধবার (২ অক্টোবর) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রুহিয়া থানা আওয়ামী লীগ নেতা আলমগীর হোসেনের বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
বিষয়টা নিশ্চিত করে ঠাকুরগাঁও পুলিশ সুপার শেখ জাহিদুল ইসলাম জানান, রুহিয়া থানার রামনাথ বাজারের একজন আওয়ামী লীগ নেতার বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বালিয়াডাঙ্গী থানার একটি মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই মামলায় তিনি প্রধান আসামি।
দবিরুল ইসলাম ঠাকুরগাঁও-২ আসনের সাতবারের সাবেক সংসদ সদস্য, ঠাকুরগাঁও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ছিলেন।
পুলিশ সূত্রে জানা যায় ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর থেকে আত্মগোপনে ছিলেন দবিরুল ইসলাম। বুধবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
উল্লেখ্য, গত ৩ সেপ্টেম্বর ১০ কোটি টাকার চাঁদাবাজি ও জমি দখলের অভিযোগে ঠাকুরগাঁওয়ের বিচারিক হাকিম রহিমা খাতুনের আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন ব্যবসায়ী হাবিবুর রহমান বাবলু। এই মামলাটি এজাহার হিসেবে নথিভুক্ত করার জন্য জেলার বালিয়াডাঙ্গী থানার ওসিকে নির্দেশ দেন আদালত। এই মামলার ২৮ জনের মধ্যে ১ নম্বর আসামি করা হয় সাবেক এ এমপিকে।
এদিকে গত ২৫ সেপ্টেম্বর শিক্ষার্থী মাহাবুব আলম হত্যার ঘটনায় ঠাকুরগাঁওয়ের সিনিয়র জুডিশিয়াল আমলি আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন নিহত শিক্ষার্থীর বাবা আব্দুল জব্বার। আদালত মামলাটি তদন্ত করে বালিয়াডাঙ্গী থানার ওসিকে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। এই মামলার ৩৮ জন জনের মধ্যে ১ নম্বর আসামি করা হয় সাবেক এমপি দবিরুল ইসলামকে।
এছাড়াও ৫ আগস্ট ঠাকুরগাঁও সদরের পৌর শহরের ছিট চিলারং এলাকায় সাবেক কমিশনার একরামুদ্দৌলার বাড়িতে অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা চারজন নিহত হয়। এ ঘটনায় দায়ের করা হত্যা মামলায় তিনিও আসামি।
Post Views: 69