শিরোনাম
안전한 토토사이트 이용 가이드 উল্লাপাড়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় কলেজ ছাত্রীর মৃত্যু। কালিয়াকৈরে পরিবেশ অধিদপ্তর ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে ২টি কারখানাকে জরিমান। বেগম খালেদা জিয়ার ভাগ্নে তুহিনের মুক্তির দাবীতে ডিমলায় বিক্ষোভ মিছিল। রাষ্ট্র সংস্কারে ৩১ দফা ও জনসম্পৃক্ততায় কালিয়াকৈরে ক্যাম্পেইন ও লিফলেট বিতরণ। ঠাকুরগাঁওয়ে জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবসে বিনামুল্যে স্বাস্থ্যসেবা। নারী বিষয়ক সংস্কার আইন বাতিলের দাবিতে হেফাজতে ইসলামের বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ। গৃহবধু হত্যা মামলার আসামী না ধরলে বালিয়াডাঙ্গী থানা ঘেরাও করার ঘোষণা। দুর্গাপুরে বিএনপি’র বিরুদ্ধে অপপ্রচারের প্রতিবাদে বিএনপির  বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা। কমলগঞ্জে বর্ণীলসাজে মণিপুরীদের ঐতিহ্যগত “লাই-হরাউবা” উৎসব।
বুধবার, ০৭ মে ২০২৫, ১১:৪১ পূর্বাহ্ন

রামপালে আসামি গ্রেফতার না করার অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন।

মল্লিক জামান,রামপাল(বাগেরহাট)প্রতিনিধিঃ / ৭৪ বার পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

বাগেরহাটের রামপালে মামলা দায়েরের পরেও আসামিদের গ্রেফতার করা হচ্ছে না বলে দাবি করে মামলার বাদি আবু তালহা শেখ এক সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রামপাল প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে মামলার বাদি আবু তালহা শেখ অভিযোগ করে জানান, আমি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বাগেরহাট জেলার সদস্য ছিলাম। গত ১৩ আগস্ট, সকালে আমি হুড়কা ইউনিয়নে ছিদামখালী এলাকায় আমাদের মালিকানাধীন মৎস্য ঘেরে কাজের জন্য যাই। এসময় একই এলাকার আঃ আজিজ শেখ আমার ঘেরের বেড়িবাঁধের ওপর গরু চরাইতে থাকে। আমি তাকে বেড়িবাঁধের ওপর গরু চরাইতে নিষেধ করি। সে আমার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে পড়ে। কিছুক্ষণ পরে আমার মা জেসমীনা বেগম, বাবা সফরুল শেখ ও ভাই আবু সাঈদ তাকে তার গরু নিয়ে চলে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করেন।
সে আমাদের সবাইকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি শুরু করে স্থান ত্যাগ করে। এ ঘটনার কিছুক্ষণ পরে আজিজ শেখ তার আত্মীয় রফিকুল ইসলাম, আবু বকার রুমি, নুরুল শেখ, মুছা শেখ ও হারুন শেখ ঘটনাস্থলে এসে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে এসে আমাদের ওপর হামলা করে।
তিনি আরো জানান, তারা আমার মাকে খুন করার উদ্দেশ্যে লোহার রড দিয়া মায়ের মাথার তালুতে আঘাত করে। তারা আমার পিতাকে খুন করার উদ্দেশ্যে হাতে থাকা ধারালো দাঁ দিয়া পিতার মাথায় কোপ দিয়া গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে। আমার ভাইয়ের মাথায় দা দিয়ে কোপ দিয়ে জখম করে এবং আমাকে লাঠিসোঁটা নিয়ে বেধড়ক মারধর করে।
আমাদের ডাক চিৎকার শুনে স্থানীয় লোকজন আমাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। আমার মায়ের শরীরে অনেক জখম হওয়ার কারণে তাকে খুলনা মেডিকেলে পাঠানো হয়।
এরপর আমি হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়ে আমার মামার সহযোগিতায় গত ১৯ আগস্ট, রামপাল থানায় আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করি। মামলা দায়েরের অনেকদিন পার হলেও পুলিশ এখনো পর্যন্ত কোন আসামি ধরতে সক্ষম হয়নি। বাদি লিখিত অভিযোগে আরো জানান যে, আাসামিরা এলাকায় প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এছাড়া আসামিদের সহযোগী ছিদামখালী এলাকার রুহুল আমিন, মোঃ রাজু শেখ, মাসুম মল্লিক আমাদের নিয়মিত হুমকি ধামকি দিচ্ছে। তারা আমাদের বাড়ির সামনে এসে বলতেছে মামলা উঠিয়ে ফেলো। তা নাহলে হলে তোদের জীবনে শেষ করে দিব। এছাড়া তারা আমাদেরকে ও আমার পরিবারের লোকদের বেকায়দায় ফেলার উদ্দেশ্যে স্থানীয় লোকদের জমি দেওয়ার কথা বলে কাগজে স্বাক্ষর গ্রহণ করতেছে। তারা স্বাক্ষর দিয়া আমাদের নামে মিথ্যা অভিযোগ দেওয়ার পায়তারা করছে। আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আমরা আসামিদের আটক করার জন্য প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
এ বিষয়ে রামপাল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সোমেন দাস জানান, পুলিশ আসামি ধরছে না এ কথাটি সম্পুর্ন ভুল। আমরা চেষ্টা চালাচ্ছি আসামিদের আটক করার জন্য। আইন সবার জন্য সমান, আমরা অল্প সময়ের মধ্যে আসামিদের ধরতে সক্ষম হবো বলেও জানান ওই পুলিশ কর্মকর্তা।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর