রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও)প্রতিনিধি:
ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ধনতলা সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে জয়ন্ত কুমার (১৫) নামে এক কিশোর নিহত হয়েছে। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন জয়ন্তের বাবা মহাদেব চন্দ্র (৪৪) এবং প্রতিবেশী দরবার হোসেন (৪৮)। আজ সোমবার ভোর ৪টায় সময় ধনতলা সীমান্তের নিটালডোবা গ্রামের ৩৯৩ নম্বর পিলার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
দূর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেন বালিয়াডাঙ্গী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ কবির। তিনি বলেন, বিএসএফের গুলিতে একজন মারা যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। দুজন আহত হয়ে রংপুরে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
তবে নিহত কিশোরের মরদেহ ভারতের ডিঙ্গাপাড়া বিএসএফর সদস্যরা সোমবার সকাল সাড়ে ৮টার সময় নিয়ে গেছে বলে জানান স্বজনরা।
নিহত কিশোর জয়ন্ত কুমার ও তার বাবা মহাদেব উপজেলার ধনতলা ইউনিয়নের ঠুমনিয়া গ্রামের বাসিন্দা। জয়ন্ত লাহিড়ী বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণির ছাত্র ছিল। অপর আহত দরবার হোসেন নিটালডোবা গ্রামের বাঠু মোহম্মদের ছেলে।
স্থানীয়রা জানায়, ভোর রাতে মহাদেব, তার একমাত্র ছেলে জয়ন্তসহ আরও ১৫-২০ জন ৩৯৩ নম্বর পিলার দিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছিল। এ সময় ভারতের ডিঙ্গাপাড়া সীমান্তের বিএসএফ সদস্যরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়লে ঘটনাস্থলে মারা যায় জয়ন্ত কুমার। এ সময় পায়ে গুলি লেগে আহত হোন মহাদেব ও প্রতিবেশী দরবার হোসেন।
আহত দরবার হোসেনের ভাতিজা হামিদুল ইসলাম জানান, সকালে পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন চাচা। পরে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। তবে কোন হাসপাতালে নিয়ে গেছে বলতে পারছেন না তিনি।
নিহত কিশোর জয়ন্তের মা ও মহাদেবের স্ত্রী অধিকা রানী ঘটনার পর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। সকাল থেকে নিজ বাড়িতে চিকিৎসা চলছে তাঁর।
জয়ন্তের বড় বোন স্মিতা রানী বলেন, ‘ভাইয়ের মৃত্যু এবং বাবার গুলি লেগেছে শোনার পর মা জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। এরপর থেকে চিকিৎসা চলছে।’ বাবা কোনো হাসপাতালে আছেন বলতে চাননি স্মিতা। তবে ভাইয়ের মুখ শেষবারের মতো দেখার জন্য লাশ ফেরতের দাবি জানান তিনি।
ঠাকুরগাঁও ৫০ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল তানজীর আহাম্মদ জানান, ‘আমরাও স্থানীয়দের কাছ থেকে শুনেছি একজন মারা গেছেন, দুজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। বিষয়টি সত্যতা যাচাইয়ের জন্য পতাকা বৈঠকের আহ্বান জানানো হয়েছে।’
Post Views: 70